রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ ও পাঁচজন আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ ও পাঁচজন আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান।
পদত্যাগ করা হল প্রাধ্যক্ষেরা হলেন- শহীদ হবিবুর রহমান হলের শরিফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাইখুল ইসলাম (মামুন জিয়াদ) ও মাদার বখশ হলের মো. রুকনুজ্জামান।
এছাড়া পদত্যাগ করা আবাসিক শিক্ষকরা হলেন- শহিদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আশিক শাহরিয়ার, সহযোগী অধ্যাপক ছালেকুজ্জামান খান, সহকারী অধ্যাপক আরমান হোসেন এবং মাদার বখশ হলের সালেহ মোহাম্মদ তোহা।
এ বিষয়ে হবিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার হলের আবাসিক শিক্ষকরা রোববার-সোমবারের মধ্যেই পদত্যাগ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়করা আমাদের অনুরোধ করেছিলেন, আমরা যেন এখনই পদত্যাগ না করি। কারণ প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা এখনই পদত্যাগ করলে হলে নিরাপত্তাহীনতাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছুদিন পদে থাকতে সম্মত হয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, পদত্যাগ না করার এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকে ফেসবুকে নানারকম বাজে কথা লিখছে। তাদের লেখা পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা যেহেতু এখন ক্ষুব্ধ, সেহেতু যেকোনো সময় আমাদের হেনস্তাও করতে পারে। তাই সম্মানটা অন্তত বজায় রেখে আমি ও আমার হলের হাউজ টিউটররা গতকাল পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার তারিকুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলের প্রাধ্যক্ষ ও পাঁচজন আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে অনেকেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পদত্যাগ করেছিলেন রাবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ ৩১ জন কর্মকর্তা।
জুবায়ের জিসান/আরকে