বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, তিন সংসদ সদস্যসহ ৬৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং রাসিকের কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলের নাম আছে।
বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, তিন সংসদ সদস্যসহ ৬৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং রাসিকের কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলের নাম আছে।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টু বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় রাসিকের তৎকালীন মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদস্য আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম বাদশা ও রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদসহ ২৩১ জনের নামে এবং আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই নগরীর মালোপাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া তারা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন আসামিরা। পরে তারা মামলার বাদীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখান ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মীর ইকবাল, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ, সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব, হাবিবুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, মোস্তাক হোসেন, আজিজুল আলম বেন্টু, যুবলীগের নেতা জহিরুল হক রুবেল, নাহিদ আক্তার নাহান, সাবেক মেয়র লিটনের পিএস আব্দুল ওহেদ খান টিটু, রাসিকের কাউন্সিলর রজব আলী, আরমান আলী, আনোয়ার হোসেন আনার, আব্দুল মোমিন, তৌহিদুল হক সুমন, শরিফুল ইসলাম বাবু, নিজামুল আজিম, মনিরুজ্জামান মনি, শাহাদাত হোসেন শাহু, মাহাতাব উদ্দিন, রাসেল জামান, মতিউর রহমান মতি, শহিদুল ইসলাম পচা, জানে আলম জনি, কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, দৈনিক সানশাইন পত্রিকার সম্পাদক ইউনূস আলী, মেয়র লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব, পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু প্রমুখ।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা হয়েছে। আসামিরা আত্মগোপনে আছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শাহিনুল আশিক/এফআরএস