আর অল্প কিছুদিন পরই অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলার মন্দিরগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন প্রতীমা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে।
আর অল্প কিছুদিন পরই অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলার মন্দিরগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন প্রতীমা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে।
সরজমিনে রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ-কাঠ, খর আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। ইতোমধ্যে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, ময়ূর, প্যাঁচা, দেবী দুর্গার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন এসব প্রতিমা শিল্পীরা। বেশকিছু মন্দিরে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেগুলো শুকানোর পর দেওয়া হবে রং তুলির আঁচড়, সাজানো হবে বিভিন্ন অলংকারে।
রাজবাড়ীর বিনোদপুর সার্বজনীন শীতলা পূজা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরি করছেন কারিগর বিজয় পাল। তিনি বলেন, মৌসুম এলেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। তাছাড়া সারা বছর বসেই থাকতে হয়। এ বছর আমি ৭টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। সব কিছুর দাম বাড়লেও গত বছর থেকে এ বছরে অনেক মন্দির থেকে মজুরি কম পাচ্ছি। আমার সঙ্গে তিনজন হেলপার কাজ করছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত বলেন, রাজবাড়ী জেলাতে এবার ৪৪০টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। মন্দিরে মন্দিরে চলছে মাটির কাজ, কিছু মন্দিরে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এরপরই শুরু হবে রঙের কাজ। আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবাবের দুর্গোৎসব।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন বলেন, নিরাপত্তার জন্য জেলার অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপে ৮ জন ও গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপে ৬ জন এবং সাধারণ পূজা মণ্ডপে ৪ জন করে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশের টহল টিম ও সাদা পোষাকে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। এছাড়া জেলা পুলিশের সিনিয়র অফিসারগণ সার্বক্ষণিক পূজা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করবে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএ