যৌথ অভিযানের ৭ দিনে ১১১ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫১

যৌথ অভিযানের ৭ দিনে ১১১ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫১

বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। গত ৭ দিনে ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। গত ৭ দিনে ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। সে সময় পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, যারা পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

৪ সেপ্টেম্বর হতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ১১১টি অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, রিভলভার ৭টি, পিস্তল ৩০টি, রাইফেল ৯টি, শটগান ১৫টি, পাইপগান ৩টি, শুটারগান ১৬টি, এলজি ৫টি, বন্দুক ১৫টি, একে ৪৭ ১টি, গ্যাসগান ১টি, চাইনিজ রাইফেল ১টি, এয়ারগান ১টি, এসবিবিএল ৩টি, এসএমজি ৩টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার ১টি। এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অস্ত্র হাতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। অনেকে হতাহত হন। বৈধ অবৈধ ব্যবহার যেমন হয়েছে তেমনি দেখা গেছে অবৈধ অস্ত্রের প্রদর্শনী। আন্দোলনকালে এ সংক্রান্ত অসংখ্য ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ও পরের তিন দিনে রাজধানীসহ দেশজুড়ে প্রায় ৫০০ থানায় হামলা হয়। লুটপাট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানাসহ নানা স্থাপনা ও পুলিশের যানবাহন। এসব ঘটনায় পুলিশের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও দায়িত্ব নেওয়ার পর আস্তে আস্তে চালু হতে থাকে সব থানার কার্যক্রম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে লুট করা অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানের শেষ দিন ছিল গত ৩ সেপ্টেম্বর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যৌথ অভিযানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও র‌্যাব। অস্ত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত জারি করা নির্দেশনার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও। গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার।

জেইউ/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *