যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নাগরিকসহ ৩৭ জনকে মৃতুদণ্ডাদেশ কঙ্গোতে

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নাগরিকসহ ৩৭ জনকে মৃতুদণ্ডাদেশ কঙ্গোতে

দেশের প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিসেকেদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে ৩৭ জনকে মৃত্যু দণ্ড দিয়েছে ডি আর কঙ্গো। দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জন কঙ্গোর এবং ৩ জন যুক্তরাষ্ট্রের, ১ জন যুক্তরাজ্যের, ১ জন বেলজিয়ামের এবং একজন কানাডার নাগরিক।

দেশের প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স টিশিসেকেদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে ৩৭ জনকে মৃত্যু দণ্ড দিয়েছে ডি আর কঙ্গো। দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৩১ জন কঙ্গোর এবং ৩ জন যুক্তরাষ্ট্রের, ১ জন যুক্তরাজ্যের, ১ জন বেলজিয়ামের এবং একজন কানাডার নাগরিক।

অবশ্য যে চার দেশের ৬ নাগরিককে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ব্যতীত সবাই কঙ্গোলিজ বংশোদ্ভূত। হামলার পরিকল্পনা এবং নেতৃত্ব যিনি দিয়েছিলেন, সেই ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গাও কঙ্গো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন।

গত মে মাসে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার নেতৃত্বে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে হামলা হয়েছিল। হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনা সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মালাঙ্গা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ-সেনা যৌথ বাহিনী। সামরিক আদালতে প্রায় সাড়ে তিন মাস বিচার চলার পর শুক্রবার ৩৭ জনকে ফাঁসি এবং বাকি ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মার্সেল মালাঙ্গাও (২০) রয়েছেন। তিনি অবশ্য বিচারের সময় বলেছিলেন যে তিনি বাধ্য হয়ে এই হামলায় অংশ নিয়েছিলেন; কারণ তার বাবা ক্রিস্টিয়ান তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে হামলায় অংশ না নিলে তিনি মার্সেলকে হত্যা করবেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে একমাত্র আসামি টেইলর থম্পসন, যিনি খাঁটি মার্কিন নাগরিক। ২০ বছর বয়সী টেইলর তার বন্ধু মার্সেলের সঙ্গে কঙ্গোতে এসেছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা যদি চান, তাহলে রায় বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। সেজন্য তাদেরকে ৫ দিন সময় দিয়েছেন সামরিক আদালত।

রায় ঘোষণার পর টেইলর থম্পসনের মা মিরান্ডা থম্পসন বিবিসিকে বলেন, “আমি বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না যে এমন একটি ঘটনায় কীভাবে আমার ছেলে যুক্ত হলো।”

প্রসঙ্গত, কঙ্গোর আইন ও দণ্ডবিধিতে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ নয়। তবে দেশটির বিচার ব্যবস্থা এই দণ্ডপ্রদানকে সবসময় নিরুৎসাহিত করে। প্রায় দু’দশক পর এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন কঙ্গোর কোনো আদালত।

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ

 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *