যশোরে যুবদল নেতা ধনি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

যশোরে যুবদল নেতা ধনি হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

যশোরের জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার আদেশ হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যশোরের জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার আদেশ হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খুলনা আদালতের বিচারক মতিউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- যশোর রেলরোড ফুড গোডাউনের উত্তর পাশের মো. ফরিদ মুন্সির ছেলে মো. রায়হান মুন্সী, আশ্রম সড়কের পূর্বাংশের বাসিন্দা আব্দুল আলিমের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন আকাশ, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের পাশের বাসিন্দা মো. মিরাজ বিশ্বাসের ছেলে মো. মন্টু ওরফে আলী রাজ বিশ্বাস অপূর্ব ওরফে হিটার রাজ, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিকের পার্শ্বে মসজিদ গলির বাসিন্দা মো. রইচ উদ্দীনের ছেলে মো. আলামিন, শংকরপুর হারান কলোনির উত্তর পাশের বাসিন্দা মো. বাবু মীরের ছেলে ইছামীর ওরফে ইছা ও চাঁচড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিজভী। এর মধ্যে আমজাদ ও ইছামীর পলাতক আছেন।

এছাড়া খালাস পাওয়া দুইজন হলেন- যশোর রেলরোড ফুড গোডাউনের দক্ষিণ পাশের বাসিন্দা মো. শামছুল আবেদীন মিলন ও শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবারের মোড়ের বাসিন্দা মো. শামীম আহম্মেদ মানুয়া।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ জুলাই যশোর জেলা যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনিকে হত্যা করা হয়। শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ায় নিজের বাড়ির সামনে অজ্ঞাত ৮-১০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ধনিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ধনির ভাই মনিরুজ্জামান মনি বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত করে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।

এ বিষয়ে জানতে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আহাদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মোহাম্মদ মিলন/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *