মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর আমলি আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামকে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বারকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর আমলি আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামকে।
নিহত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল মালিতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানায় এফআইআর’র নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বারকে পুলিশ আটক করে। পরে ওই রাতেই গুলি করে তাকে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধ হিসেবে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আব্দুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহারনামীয় ২৬ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর থানার এসআই শরজিদ কুমার ঘোষ, ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম, এসআই গাজী ইকবাল হোসেন, কনস্টেবল সাধন কুমার ও নারদ কুমার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আলহাজ আব্দুল জব্বার ইসলামী ভাবাদর্শের তৃণমূল নেতা এবং আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ইউপি সদস্য ছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপ্রার্থী ছিলেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুল জব্বারের পাশাপাশি তার ছেলেকেও (মামলার বাদী) গ্রেপ্তার করে সদর থানা হাজতে রাখা হয়। পরে ছেলেকে একটি মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলেও আব্দুল জব্বারকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শেষে বুকে ও পিঠে একাধিক গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই মাস পর বাদী জামিনে মুক্তি পেয়ে সাক্ষীদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারেন।
প্রসঙ্গত, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইিফুল ইসলামকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে গেল ৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই। এ মামলটিরও প্রধান আসামি তৎকালীন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। মামলাটিতে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আকতারুজ্জামান/এমজেইউ