প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ৬টি আবেদন তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে সরকার পদত্যাগের পর রাষ্ট্রের সংস্করণ কীভাবে হবে, সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন এই নির্মাতা।
‘কয়টা কথা নিয়ে বিনীত এই নিবেদন’ শিরোনামে ফারুকী স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ১। প্রিয় সেনাপ্রধান, আপনার বাহিনীর প্রথম কাজ ল অ্যান্ড অর্ডার ইমপ্রুভ করা। আর আমাদের সবার কাজ এখানে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা। আমরা জানি, শেখ হাসিনা সরকার পুলিশ বাহিনীকে এত বাজেভাবে ব্যবহার করেছে যে বাহিনীটা মানুষের আস্থার সংকটে আছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে এই বিশৃঙ্খলা দিয়ে। কিন্তু সেনাবাহিনীকে এই জায়গায় বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। আমি এটাও বুঝি মানুষের ক্ষোভ থেকে মানুষ অনেক কিছু করছে। কিন্তু সময় এসেছে এটা থামানোর।
২। প্রত্যেক জেলায় জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয় সেনাবাহিনীর সাথে মিলে মিশে আপনারা সবাই পরম মমতায় আগলে রাখেন। সারাদেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছিলাম আমরা। এখন কারা এই অপকর্ম করছে? এখন বহু পক্ষ গুটি চালাচালি করতে পারে। বহু এজেন্সি সক্রিয়। এই সময় আমাদের দায়িত্ব সতর্ক থাকা যাতে কেউ আমাদের বিজয়কে বিষাদে পরিণত করতে না পারে। ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল দল ভাগ করে করে পাহারা দিলেই কেউ সুযোগ নিতে পারবে না। মনে রাখতে হবে বাইরের দুনিয়ায় আমাদের ইমেজ যেন খারাপ না হয়।
৩। আমাদের যে ভাই-বোনেরা শহিদ হয়েছে তাদের জাতীয় বীর ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদান করতে হবে। বিজয়ের এই ক্ষণে আমার কেবল তাদের কথাই মনে হচ্ছে। যদিও তারা কিছু পাওয়ার জন্য প্রাণ দেয়নি। কিন্তু এটা আমাদের দায়িত্ব।
৪। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী অকুতোভয় বীর তরুণদের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ক আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করেন প্লিজ।
৫। ইনটেরিম সরকারের প্রধান কাজ পুলিশ, জুডিশিয়ারি, সিভিল প্রশাসন, আর্থিক খাত রিফর্ম। এ ছাড়া ব্যাংক লুটপাটের মূল নায়কদের বিচারের আওতায় আনা। এই কাজে অভিজ্ঞদের ইনটেরিম সরকারে অন্তর্ভুক্ত করেন মেহেরবানী করে।
৬। কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে অবিলম্বে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে গ্রেফতার করা। বাংলাদেশে গুম-খুনের আসল কারিগর সে শুধু তা না, ফোন ট্যাপিংয়ের নামে মানুষের প্রাইভেসি ধ্বংস করেছে সে। এবং প্রাউডলি সেই সব রেকর্ডিং এই পারভার্ট লোকটা মিডিয়াতে সরবরাহ করতো এবং আমাদের স্পাইনলেস মিডিয়া সেগুলো প্রচার করতো। এই লোককে এখনই নিউট্রালাইজ করতে হবে। এছাড়া ডিবি’র হারুন সহ কুখ্যাত যারা আছে তাদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীর উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করতে হবে এখনই।
এনএইচ