মেঘনার তীরে পড়ে থাকা নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে

মেঘনার তীরে পড়ে থাকা নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে

ভোলার চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে পড়ে থাকা নিহত অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় মিলেছে। তার নাম জোছনা বেগম (১৮)।

ভোলার চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে পড়ে থাকা নিহত অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় মিলেছে। তার নাম জোছনা বেগম (১৮)।

তিনি চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন ও কুলসুম বেগম দম্পতির একমাত্র মেয়ে।  

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘ভোলায় মেঘনার তীরে পড়ে ছিল তরুণীর মরদেহ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয় ঢাকা পোস্টে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করলেও সে সময় পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তরুণীর মা কুলসুম বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যায় থানায় এসে মরদেহটির পরিচয় নিশ্চিত করেন।

তরুণীর মা কুলসুম বেগম বলেন, গত রমজান ঈদের আটদিন পর পারিবারিকভাবে রাকিবের সঙ্গে জোছনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জামাই রাকিব তাকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে থাকাকালীন মানিক নামে অচেনা এক যুবকের সঙ্গে জোছনার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে রাকিব তাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সে ঢাকায় ফিরে যায়। এরপরও জোছনা ও মানিকের মধ্যে মোবাইলে কথা চলতে থাকে।

‘গত রোববার দুপুরে মানিক ঢাকা থেকে চরফ্যাশনে এসে আমার মেয়েকে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও পাই না। রাতে বাসায় ফোন দেয় জোছনা। বলে, মানিকের সঙ্গে লঞ্চে সে ঢাকায় যাচ্ছে। পরের দিন সোমবার মানিক আমাকে ফোন দিয়ে টাকা চায়। বলে, আমার মেয়ে অসুস্থ। তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে। আমি ধার করে মানিককে টাকা পাঠাই। গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মানিক ফোন করে জানায়, আপনার মেয়ে জোছনা ঢাকার সদরঘাট থেকে হারিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।’

‘আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার মেয়ের লাশ বেতুয়া প্রশান্তি পার্কের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। মানিক আমার একমাত্র মেয়েকে মেরে ফেলেছে’— দাবি করেন মা কুলসুম বেগম।

মেয়েকে হত্যায় মামলা করেছেন কি না— জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, মামলা চালাব কীভাবে?’

চরফ্যাশন থানার ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো. খাইরুল ইসলাম/এমএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *