মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থার জন্য পারস্পরিক দ্বন্দ্বকে দায়ী করেছেন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. জাকির নায়েক। তিনি বলেছেন, বর্তমানে আমাদের মাঝে ভেদাভেদ না থাকলে আমরা বিশ্বের সবথেকে বড় পরাশক্তি হতে পারতাম।
মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থার জন্য পারস্পরিক দ্বন্দ্বকে দায়ী করেছেন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. জাকির নায়েক। তিনি বলেছেন, বর্তমানে আমাদের মাঝে ভেদাভেদ না থাকলে আমরা বিশ্বের সবথেকে বড় পরাশক্তি হতে পারতাম।
পাকিস্তানের লাহোরের ঐতিহাসিক বাদশাহী মসজিদে এক কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি মুসলমানদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। বর্তমানে মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থার জন্যও তিনি পারস্পরিক দ্বন্দ্বকে দায়ী করেন এবং বলেন, মুসলমানদের বর্তমানে যেই পরিস্থিতি তা নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ও দ্বন্দ্বের কারণে।
এ সময় তিনি মুসলমানদের আল্লাহর পথ অবলম্বন করে বিভেদ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, পবিত্র কোরআনে মানুষকে শান্তিতে বসবাসের পদ্ধতি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা দু্ই বিলিয়নেরও বেশি। এরপরও ফিলিস্তিনিদের সবার সামনে হত্যা করা হচ্ছে। আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখলে আমরাই বিশ্বের পরাশক্তি হতে পারবো।
প্রায় এক মাসের সফরে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন জাকির নায়েক। সফরে তার সঙ্গে আছেন ছেলে ফারিক নায়েক। তার দল টিম জাকির নায়েকের কয়েকজন সদস্যও আছেন পাকিস্তানে। তার আগমন উপলক্ষে নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে জাকির নায়েকের ভক্ত অনুরাগী। তরুণ প্রজন্ম ও প্রায় সব বয়সীদের মাঝে তিনি জনপ্রিয়।
মূলত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ধর্ম ও বস্তুগত বিষয়ের সঙ্গে ইসলামের তুলনামূলক ব্যাখ্যা ও আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ড. জাকির নায়েক। বিজ্ঞান ও ইতিহাসের উদ্ধৃতি দিয়ে তার আলোচনাও শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। ডা. জাকির নায়েকের অন্যতম জনপ্রিয় থিম হলো বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে কোরআনকে যাচাই করা।
২০১৬ সালে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এফআইআর জারি ও তার ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। এরপর ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান তিনি। ওই সময়ের পর থেকেই জাকির নায়েককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
সূত্র : জিও নিউজ