মিমিকে ধর্ষণের হুমকি, পাশে দাড়াঁলেন সৃজিত

মিমিকে ধর্ষণের হুমকি, পাশে দাড়াঁলেন সৃজিত

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চারিদিকে প্রতিবাদের ঝড় চলছে। সকলের মুখেই একটার দাবি, ‘বিচার চাই’। মহিলারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে দাবি তুলছেন একাধিক। রাতে, এমনকি দিনের বেলাতেও মহিলারা কতটা নিরাপদ, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে কে?

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চারিদিকে প্রতিবাদের ঝড় চলছে। সকলের মুখেই একটার দাবি, ‘বিচার চাই’। মহিলারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে দাবি তুলছেন একাধিক। রাতে, এমনকি দিনের বেলাতেও মহিলারা কতটা নিরাপদ, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে কে?

হাজারো প্রশ্নে যখন উত্তাল, তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি পেলেন অভিনেত্রী ও যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী নিজের সে স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করলেন। এরপর মিমির পাশে দাড়াঁলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

হুমকি দেওয়া সেই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তার জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।’

আর এই পোস্ট শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, ‘আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি, তাই না? এরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তাঁরা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?’

এরকম একটি কমেন্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সেলেবদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।’ তবে পরিচালক এই পোস্টের কমেন্ট সেকশন বন্ধই করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত মন্তব্যকে এড়িয়ে যেতে। মিমি ও সৃজিত দুজনেই অভয়ার হয়ে বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। 

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

এমআইকে/

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *