মানুষকে হাশরের মাঠে নিয়ে যাবেন যে দুই ফেরেশতা

মানুষকে হাশরের মাঠে নিয়ে যাবেন যে দুই ফেরেশতা

মানুষের পাপ, পূণ্যের হিসাব লিপিবদ্ধ করার জন্য আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। মানুষ যা কিছু করে ফেরেশতারা তা লেখে রাখেন। ফেরেশতাদের লিখে রাখা এই আমলনামা হাশরের মাঠে মানুষের পক্ষে অথবা বিপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালার সামনে তার অপরাধ, পাপের কথা শিকার করতে চাইবে না তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে তার আমলনামা পড়তে দেবেন। নিজ হাতেই মানুষ নিজের আমল দেখতে পাবে।

মানুষের পাপ, পূণ্যের হিসাব লিপিবদ্ধ করার জন্য আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। মানুষ যা কিছু করে ফেরেশতারা তা লেখে রাখেন। ফেরেশতাদের লিখে রাখা এই আমলনামা হাশরের মাঠে মানুষের পক্ষে অথবা বিপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালার সামনে তার অপরাধ, পাপের কথা শিকার করতে চাইবে না তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে তার আমলনামা পড়তে দেবেন। নিজ হাতেই মানুষ নিজের আমল দেখতে পাবে।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,

 اِقۡرَاۡ كِتٰبَكَ ؕ كَفٰی بِنَفۡسِكَ الۡیَوۡمَ عَلَیۡكَ حَسِیۡبًا

 ‘(কেয়ামতের দিন প্রত্যেককে বলা হবে) তুমি তোমার কিতাব (আমলনামা) পাঠ করো। আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ১৪)

আল্লাহ তায়ালার আদেশে মানুষের আমলনামা সংরক্ষণকারী এই দুই ফেরেশতাকে কোরআনে কিরামান কাতিবিন বলে সম্বোধন করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে,

 كِرَامًا كَاتِبِیۡنَ یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ

সম্মানিত লেখকবৃন্দ; তারা জানে তোমরা যা কর। (সূরা ইনফিতার, আয়াত : ১১-১২)

অর্থাৎ ফেরেশতারা প্রত্যেক ব্যক্তির প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। সব জায়গায় সব অবস্থায় সকল ব্যক্তির সাথে তারা এমনভাবে লেগে আছে যে, তারা জানতেই পারছে না যে, কেউ তাদের কাজ পরিদর্শন করছে। 

কোন ব্যক্তি কোন নিয়তে কি কাজ করেছে তাও তারা জানতে পারে। তাই তাদের তৈরি করা রেকর্ড একটি পুর্ণাঙ্গ রেকর্ড। এই রেকর্ডের বাইরে কোনো কথা নেই। 

এ সম্পর্কেই সূরা কাহাফের ৪৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, কিয়ামতের দিন অপরাধীরা অবাক হয়ে দেখবে তাদের সামনে যে আমলনামা পেশ করা হচ্ছে তার মধ্যে তাদের ছোট বড় কোন একটি কাজও অলিখিত থেকে যায়নি। যা কিছু তারা করেছিল সব হুবহু ঠিক তেমনিভাবেই তাদের সামনে আনা হয়েছে।

পৃথিবী ধ্বংস হয়ে কিয়ামত কায়েম হওয়ার পর মানুষকে কবর থেকে উঠিয়ে হাশরের মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে। হাশরের ময়দানে প্রত্যেক মানুষের সাথে একজন ফেরেশতা থাকবে। 

তাকে কোরআনে سائق (সায়িক্ব) বলে সম্বোধন করা হয়েছে। আর সায়িক্ব সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, যে জন্তুদের অথবা কোনো দলের পেছনে থেকে তাকে কোনো বিশেষ জায়গায় পৌছে দেয়। 

কোরআনে সম্বোধন করা এই দুই ফেরেশতা সবার সঙ্গে থাকবেন। তাদের একজন তাকে হাশরের ময়দানে পৌঁছাবে এবং অপরজন তার কর্মের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেবে। এই ফেরেশতাদ্বয় ডান ও বামে বসে আমল লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাও হতে পারে। এবং অন্য দুই ফেরেশতাও হতে পারে। 

কারও কারও মতে, সে হবে মানুষের আমল এবং কেউ খোদ মানুষও বলেছেন। তবে ফেরেশতা হওয়াই আয়াতের বাহ্যিক অর্থ থেকে বোঝা যায়। 

পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, 

 وَ جَآءَتۡ كُلُّ نَفۡسٍ مَّعَهَا سَآئِقٌ وَّ شَهِیۡدٌ 

আর সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি উপস্থিত হবে, তার সঙ্গে থাকবে চালক ও সাক্ষী। (সূরা কাফ, আয়াত : ২১)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *