মানিকগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা রংপুর থেকে গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা রংপুর থেকে গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মানিকগঞ্জে জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউর রহমান ওরফে কম্পনকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মানিকগঞ্জে জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউর রহমান ওরফে কম্পনকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

বুধবার(৬ নভেম্বর) দুপুরে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন।

ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সামিউর রহমান ওরফে কম্পনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহরের শহীদ রফিক সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান খান আহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মুরাদ হোসেন মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সামিউর রহমানসহ মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ও সদস্য আবদুস সালামসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সামিউর রহমান পালিয়ে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জের ডা. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অভিযান চালায় মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এতে সহযোগিতা করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সামিউর কলেজের শহীদ আবু সাঈদ হলের ছাদে উঠে যান। পরে ছাদের পানির পাইপ বেয়ে নিচে নামার সময় তিনি দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে আহত হন। 

এ ব্যাপারে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাকে মানিকগঞ্জে নিয়ে এসে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এই মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সোহেল হোসেন/আরএআর 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *