মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর বড় অভিযান, উদ্ধার সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক

মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর বড় অভিযান, উদ্ধার সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন করে ছড়িয়েছে সহিংসতা। রাজ্যটিতে লাগাতার লুটপাট, অশান্তির খবরও পাওয়া গেছে এসময়ে। আর এর মধ্যেই এবার উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন করে ছড়িয়েছে সহিংসতা। রাজ্যটিতে লাগাতার লুটপাট, অশান্তির খবরও পাওয়া গেছে এসময়ে। আর এর মধ্যেই এবার উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক।

সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এদিকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করার ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরে অশান্তির আবহে এবার রাজ্যটির পূর্ব ইম্ফল জেলায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক। অভিযানে সব মিলিয়ে মোট সাতটি ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।

মণিপুরের পূর্ব ইম্ফল জেলার বঙ্গজাং এবং ইথাম গ্রামের কাছে সেনাবাহিনী এসব বিস্ফোরক খুঁজে বের করে। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই বিস্ফোরকগুলো ইতোমধ্যে নিষ্ক্রিয় করেছেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়রেরা।

এদিকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করার ঘটনাকে একটি বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই সাফল্যের ফলে অনেক প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত তিন মাসে বিস্ফোরক উদ্ধারের দিক থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সাফল্য এটি। এর আগে গত ২০ জুলাই ৩৩ কেজি আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেছিল সেনাবাহিনী। সেটিও উদ্ধার করা হয়েছিল পূর্ব ইম্ফল জেলা থেকেই।

সাইচাংয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেসব বিস্ফোরক। মূলত উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলাতে এক প্রকার হিমশিম খাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে নতুন করে অশান্তির আবহে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের কথা জানানো হলো।

উল্লেখ্য, মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যটি সেপ্টেম্বরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’টি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায়।

রাজ্যের সরকার দাবি করেছিল, কুকি যোদ্ধারাই ওই হামলা চালিয়েছে। সম্প্রতি সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মৈরেম্বাম কৈরেং সিংয়ের বাড়ির চত্বরে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

পাশাপাশি মণিপুর রাইফেলসে‌র দ্বিতীয় ও সপ্তম ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার লুটের চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *