রোববার সকালে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাশিয়ার দূর-পূর্বাঞ্চলের কামচাতকা উপদ্বীপ। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি আগ্নেয়গিরি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর আকাশে কয়েক মাইল ছাই-য়ে ছেয়ে গেছে।
রোববার সকালে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাশিয়ার দূর-পূর্বাঞ্চলের কামচাতকা উপদ্বীপ। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি আগ্নেয়গিরি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর আকাশে কয়েক মাইল ছাই-য়ে ছেয়ে গেছে।
শিভেলুচ নামের এই আগ্নেয়গিরিটি কামচাতকা উপদ্বীপের রাজধানী পেত্রোপাভলোস্ক-কামচাতস্কি থেকে ২৮০ মাইল দূরে অবস্থিত। সেখানে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
বার্তাসংস্থা টাস নিউজ জানিয়েছে, “আগ্নেয়গিরির ছাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ কিলোমিটার উপর পর্যন্ত উঠেছে। এছাড়া আগ্নেয়গিরি থেকে গড়িয়ে নিচে নেমে এসেছে লাভা।”
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানলেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি নিশ্চিতের জন্য সেখানকার ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে পেত্রোপাভলোস্ক-কামচাতস্কি থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে মাটির ৫০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র ভূমিকম্পের পর পর সুনামির সতর্কতা জারি করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা জানায় এ শঙ্কা কেটে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করেনি।
বড় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর বেশ কয়েকটি আফটার শক (ছোট ছোট ভূমিকম্প) অনুভূত হয়েছে। কিন্তু এগুলোর তীব্রতা কম ছিল।
যেই উপদ্বীপটিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে সেটি একটি ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকা। এটি ‘রিং অব ফায়ারের’ পাশেই অবস্থিত। সেখানে এক ডজনের বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
সূত্র: টাস নিউজ
এমটিআই