ভারতে আরজি কর কাণ্ডের পর হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতে আরজি কর কাণ্ডের পর হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসক শুধু রোগীর স্বজনদের জুতা খুলে ইমারজেন্সি রুমে ঢুকতে বলেছিলেন, আর এই কারণেই তাকে মারধর করা হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের ভাবনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের একটি হাসপাতালের জরুরি কক্ষে ঢোকার আগে রোগীর পরিবারের সদস্যদের জুতা খুলে আসতে বলায় একজন ডাক্তারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এক নারীর চিকিৎসার জন্য আসার পর গত শনিবার ভাবনগরের সিহোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটে। হামলায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জরুরি কক্ষের ভেতরে থাকা সিসিটিভিতে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে কয়েকজন পুরুষকে বিছানায় শুয়ে থাকা এক নারীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার জয়দীপসিং গোহিল রুমে প্রবেশ করেন এবং তাদের জুতা খুলে আসতে বলেন।
কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেই কথা না শুনে ডাক্তারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চিকিৎসককে আচমকা মারধর শুরু করেন রোগীর পরিজনরা। অসুস্থ ওই নারী ও নার্স তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।
এসময় চিকিৎসককেও পাল্টা প্রতিরোধ করতে দেখা যায়। হাতাহাতি ও সংঘর্ষে হাসপাতালের এই জরুরি কক্ষের ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার পর তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের নাম হিরেন দাঙ্গার, ভাবদীপ দাঙ্গার এবং কৌশিক কুভাদিয়া। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
টিএম