ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, সম্পর্ক হবে ভারসাম্যপূর্ণ

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, সম্পর্ক হবে ভারসাম্যপূর্ণ

ভারতের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না। তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীর ন্যায় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ভারতের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না। তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীর ন্যায় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘পানি বণ্টনে ভারতের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অববাহিকার ভিত্তিক নদী-চুক্তি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ ও নদীসমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার প্রকল্প গ্রহণে’র দাবিতে আয়োজিত ছাত্র-জনতার সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান; ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও; ভারতের সব চুক্তি, বাতিল করো করতে হবে; ভারতের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বক্তারা বলেন, ভারত আমাদের সঙ্গে যা করেছে তা কোনো যুদ্ধের চেয়েও কম নয়। যখন আমরা ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই রাষ্ট্র সংস্কার শুরু করলাম ঠিক তখনই তারা আমাদের দেশে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করল। এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব কতটুকু ঠিক থাকবে তা এদেশের ছাত্র-জনতা  সিদ্ধান্ত নেবে। এই রাষ্ট্র মেরামতের সময় ভারত এই কাজ করে তারা আমাদের ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে।

ভারতের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই, রাষ্ট্র মেরামতে যদি আপনারা সঙ্গে না থাকেন, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বন্ধুত্ব থাকবে না। আপনাদের সঙ্গে সব চুক্তিকে ভঙ্গ করে দেওয়া হবে। ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতা সম্মিলিতভাবে পরাজিত শক্তির সব কূটচাল রুখে দেবে। 

সমাবেশের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ বলেন, আমরা জুলাই বিপ্লবের আগেও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছি। সুতরাং দেশে স্বাধীনতা আসার পরে আমরা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আরও বড় বিক্ষোভ করতে পারবো। মালদ্বীপের মতো রাষ্ট্র যদি ভারতে খেদাতে (তাড়াতে) পারে আমরাও তাদের খেদাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে পারে না। একটাই সম্পর্ক হবে- প্রতিবেশীর ন্যায় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে এই দাবি করবো এবং সামনের দিনে যারা ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র বলবে তাদেরকেও আমরা বয়কট করবো।

ঢাবি শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন বিন মোজাফফর বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পানির স্রোতে নৌকা বা স্পিডবোট টিকে থাকতে পারছে না৷ তাই দেশের তিন বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে। 

সাধারণ মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। 

তিনি বলেন, আজ আমাদের ওপর ভারত ইসরাইলের মতো আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে নতজানু হওয়া কোনো চুক্তি আমরা মেনে নেবো না। তাদের সঙ্গে ইতোপূর্বে হওয়া সব অসামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তি বাতিল করতে হবে। 

কেএইচ/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *