ভারত কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর।
ভারত কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগগের উদ্যোগে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সৃষ্ট বন্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে তাদের সেবাদাসদের টিকিয়ে রাখতে না পেরে প্রতিশোধ পরায়ণ আচরণ হিসেবেই কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়েছে। যার ফলে ইতিহাসের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মানুষ। ভারতের এমন আত্মঘাতী কার্যক্রমের ফলে ব্যাপক প্রাণহানি, ফসল ও সম্পদের নষ্ট হচ্ছে যা আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে সীমান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত সব নদীতে আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুসরণ করতে ভারতকে বাধ্য করতে হবে। ঘোষণা ছাড়া রাতের আধারে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম বন্যা সংকট সৃষ্টি করে ক্ষয়ক্ষতির দায় ভারতকে নিতে হবে। এ আচরণের জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে। অন্যথায় ভারতের আগ্রাসী আচরণের জন্য ভারতীয় সব পণ্য বয়কটসহ কঠোর জবাব দেবে দেশপ্রেমিক ছাত্র জনতা।
ঢাকা মহানগর পূর্বর সভাপতি এম জসীম খাঁর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইউসুফ মালিক, শুরা সদস্য সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মাইদুল ইসলাম সিয়াম, নগর দক্ষিণের সভাপতি আব্দুর রহমান, নগর পশ্চিমের সভাপতি সোহরাব হোসেন ফজলে সহ নগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এমএম/এমএ