ভারতের উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে জোরে করে ধরে ‘বলিদান’ দেওয়া হয়েছে। সে একটি বেসরকারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। স্কুলের সমৃদ্ধির আশায় এই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে জোরে করে ধরে ‘বলিদান’ দেওয়া হয়েছে। সে একটি বেসরকারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। স্কুলের সমৃদ্ধির আশায় এই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, কৃতার্থ নামের ১১ বছর বয়সী এই ছাত্রকে গত সোমবার স্কুল হোস্টেলের ভেতর হত্যা করা হয়। স্কুলটির পরিচালকের বাবা ‘কালোজাদু’-তে বিশ্বাস করেন। তার বিশ্বাস ছিল কোনো ছাত্রকে বলিদান দেওয়া হলে তাদের স্কুলের উন্নতি হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, নৃশংস এই হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে আছেন স্কুলটির মালিক জাসোধান সিং, তার ছেলে ও পরিচালক দিনেশ বাঘেল এবং তিন শিক্ষক।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তরা এই ছাত্রকে স্কুলের বাইরের একটি টিউবওয়েলের সামনে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন তারা তাকে হোস্টেল থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সে চিৎকার করা শুরু করে। এতে তাকে বাইরে না নিয়ে হোস্টেলের ভেতরই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ৯ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে বলিদান দেওয়ার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু ওই প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়। তবে ১১ বছর বয়সী কৃতার্থ তাদের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
তদন্তের সময় ‘কালোজাদুর’ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই ছাত্রের বাবা পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছেন; তাতে লেখা আছে, ছাত্রকে হত্যার পর সেটি ধামা চাপা দিতে হত্যাকারীরা কৌশল অবলম্বন করে। তারা ছাত্রের বাবাকে গত সোমবার ফোন করে জানায় সে স্কুলে অসুস্থ হয়ে গেছে। তিনি দ্রুত স্কুলে যাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, তার ছেলেকে পরিচালকের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি তার ছেলেকে ছাত্রের গাড়িতেই পান।
সূত্র: এনডিটিভি
এমটিআই