ব্রাদার্সের জার্সিতে জামাল, খেলতে পারবেন তো!

ব্রাদার্সের জার্সিতে জামাল, খেলতে পারবেন তো!

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল ক্যাম্প শুরু করছে। এই উপলক্ষ্যে ক্লাবে এসেছিলেন ক্লাবটির আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন। দেশি-বিদেশি ফুটবলারদের নতুন জার্সি প্রদান ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সেখানে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া উপস্থিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। 

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল ক্যাম্প শুরু করছে। এই উপলক্ষ্যে ক্লাবে এসেছিলেন ক্লাবটির আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন। দেশি-বিদেশি ফুটবলারদের নতুন জার্সি প্রদান ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সেখানে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া উপস্থিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। 

এবারের মৌসুমে জটিলতায় পড়েছেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক। ঢাকা আবাহনী একেবারে শেষ মুহূর্তে পারিশ্রমিক অনেক কমিয়েছে। এতে জামাল রাজি না হওয়ায় আবাহনী তার ফর্ম জমা দেয়নি ফেডারেশনে। দলবদলের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় অন্য দলেও যেতে পারেননি জামাল। জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান ব্রাদার্স ইউনিয়নেরও ম্যানেজার। তিনি ওই ঘটনার পরপরই জামালকে ব্রাদার্সে খেলার প্রস্তাব দেন। সেই ভিত্তিতেই জামাল আজ জার্সি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। 

লিগের প্রথম লেগে নিবন্ধন না হওয়ায় জামাল ভূঁইয়ার খেলার সুযোগ নেই। এরপরও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার ও বাফুফের নির্বাহী সদস্য আমের খান বিষয়টি বিশেষভাবে ফেডারেশনকে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘তিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে জামালের আজকের এই অবস্থা। ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন রয়েছে। তারা চাইলে জামালের ব্যাপারে একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত দিতে পারে।’ জামাল নিজেও প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির দিকে তাকিয়ে আছেন, ‘আমি ফেডারেশনে আবেদন করেছি। তারা বলেছে বিষয়টি দেখবে। আমি তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। আমি ফুটবলার, খেলতে চাই।’

পেশাদার লিগে কোনো ক্লাবের হয়ে কেউ খেলতে চাইলে প্রথম ও প্রধান শর্ত বাফুফের নিবন্ধন ফর্মে স্বাক্ষর করা। জামাল ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে সে রকম কোনো ফর্মে স্বাক্ষর করেননি। এমনকি ব্রাদার্সও জামালের পক্ষে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানান আমের খান,‌ ‘আমরা এখনও ফর্মে স্বাক্ষর করাইনি। আগে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসুক। আমরাও চাই সে খেলুক, ব্রাদার্স না হলেও অন্য ক্লাবেও অন্তত খেলুক।’

জামাল ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন দুই পক্ষই প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির দিকে তাকিয়ে। লিগের প্রথম লেগে তিনি নিবন্ধিতই নন, ফলে খেলার আইনগত কোনো বৈধতাই নেই। এই ব্যাপারে বাফুফে সদস্যের যুক্তি, ‘অনেক সময় এক খেলোয়াড় দুই ক্লাব থেকে অর্থ নেয়, এমন বিষয় প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি সমাধান করে। সে আবাহনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল। ফেডারেশনে ফর্ম জমা দেয়নি। আবাহনী চাইলে ধারে দিতে পারে।’

দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে ক্রীড়া ক্লাবগুলোতেও পরিবর্তন আসছে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের দায়িত্বে এখন ইশরাক হোসেন। যিনি ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। তিনি নিজেও বিএনপির হয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। ব্রাদার্স ইউনিয়নের স্বর্ণযুগ ছিল খোকার সময়কালে। ইশরাক বাবার সেই সাফল্যমন্ডিত সময় ফেরত আনতে চান, ‘আমরা এখন যারা দায়িত্ব নিয়েছি সবারই লক্ষ্য ব্রাদার্সকে সাফল্যের ধারায় ফেরানো। এবার খুবই স্বল্প সময়ে দলগঠন হয়েছে। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল রেলিগেশন এড়ানো। তবে আমরা এর চেয়ে ভালো দলই করেছি। সামনে ফুটবল, ক্রিকেট দুই দলই ভালো হবে।’

দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন। রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে এই ক্লাবেরও পালাবদল হয়। ফলে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায় ক্লাব। ক্লাবের আহ্বায়ক ইশরাক পেশাদার ও আধুনিকায়ন রাখতে চান বলে জানিয়েছেন, ‘শুনেছি কয়েক বছর আগে ক্লাবটি লিমিটেড হয়েছে। কি প্রক্রিয়ায় হয়েছে, কেন হয়েছে বিষয়টি ভালো করে জানতে হবে। যখন আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ক্লাবের কোনো অ্যাকাউন্ট বা অর্থ কিছুই ছিল না। আমাদের বড় টেন্ট ও অনুশীলন মাঠ রয়েছে। আমরা এই সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করে ক্লাবটি আধুনিকায়ন করে গৌরবের জায়গায় ফেরত আনার চেষ্টা করব।’

এজেড/এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *