ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে হয়। এতো দিন ব্যান্ডউইথের মূল্য পরিশোধ করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। এখন অনুমোদন ছাড়াই এ সেবার মূল্য বিদেশ পাঠাতে পারবে।
ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে হয়। এতো দিন ব্যান্ডউইথের মূল্য পরিশোধ করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। এখন অনুমোদন ছাড়াই এ সেবার মূল্য বিদেশ পাঠাতে পারবে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
এর ফলে ব্যান্ডউইথ সেবা ক্রয়ের অর্থ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। এজন্য অবশ্যই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স, বিদেশি পক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, ইনভয়েস, অর্থ পরিশোধের স্বপক্ষে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী থাকতে হবে।
এ বিষয়ে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন নির্দেশনার ফলে ইন্টারনেট সেবার উপকরণ হিসেবে ব্যান্ডউইথের ব্যয় পরিশোধের অনুমতি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এতে করে সময় বাজবে, বৈদেশিক লেনদেন সহজ হবে।
এদিকে অপর আরেক নির্দেশনায় বিদেশি আমদানিকারক এবং বিদেশি কন্টাক্টরদের অনুকূলে পারফরমেন্স বন্ড কিংবা গ্যারান্টি ইস্যু করার জন্য ব্যাকগুলোকে সাধারণ অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকগুলো স্থানীয় রপ্তানিকারক এবং সাব-কন্টাক্টদের পক্ষে এ সব কাজ কতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি বাণিজ্য সহজীকরণ এবং স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিদেশি কন্টাক্টরদের পক্ষে স্থানীয় সরবরাহ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নিয়োজিত সাব-কন্টাক্টরদের কাজ সহজ হবে। বৈদেশিক মুদ্রার অন্ত:প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এসআই/এমএসএ