বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়ন ও যাচাই অনলাইনে শুরু হয়েছে গত ১ অক্টোবর থেকে। তবে এখনো কিছু শিক্ষা বোর্ড ম্যানুয়ালি এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাই ম্যানুয়ালি কার্যক্রম চালানো শিক্ষা বোর্ডগুলোকে অনলাইনে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার চিঠি সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট সত্যায়ন ও যাচাই অনলাইনে শুরু হয়েছে গত ১ অক্টোবর থেকে। তবে এখনো কিছু শিক্ষা বোর্ড ম্যানুয়ালি এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাই ম্যানুয়ালি কার্যক্রম চালানো শিক্ষা বোর্ডগুলোকে অনলাইনে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার চিঠি সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সনদপত্র-একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র যাচাই ও সত্যায়ন অনলাইনে সম্পাদনের জন্য সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো-কোনো শিক্ষা বোর্ড এখনো সনদপত্র-একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র ম্যানুয়ালি যাচাই ও সত্যায়ন করে আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে যে-সব শিক্ষা বোর্ড এখনো ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে সনদপত্র-একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র যাচাই ও সত্যায়ন করছে অবিলম্বে সেসব বোর্ডকে সনদপত্র-একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র যাচাই ও সত্যায়নের সব কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে বিদেশগামীদের ভোগান্তি কমাতে পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট সত্যায়নও অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর ফলে সনদের মূল কপি নিয়ে আর ছুটতে হয় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে, বিদেশ যেতে অনেক ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করতে হয়। শিক্ষাসংক্রান্ত সনদ হলে প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস সত্যায়িত করে। তারপর ওই দেশে কার্যকর হয়। যে-সব দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই, দিল্লিতে গিয়ে ওই সব দেশের দূতাবাসে সনদ জমা দিয়ে সত্যায়িত করতে হয়। এতে বিরাট জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।
প্রসঙ্গত, বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সনদ সত্যায়নের ভোগান্তি কমাতে দুই বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ নামে একটি সেবা চালু করা হয়েছিলো। অনলাইনে সত্যায়ন শুরুর ফলে সেই সার্ভিসের আর প্রয়োজন হচ্ছে না।
এনএম/এমএসএ