বিশ্বকাপের কল্যাণে ভারতের পকেটে ১৬ হাজার কোটি

বিশ্বকাপের কল্যাণে ভারতের পকেটে ১৬ হাজার কোটি

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান ভারতের। এমনকি তাদের বোর্ডকে সবচেয়ে ধনী বলেও বিবেচনা করা হয়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল রোহিত-কোহলিদের দেশে। যার কল্যাণে ভারত আয় করেছে ১.৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আজ (বুধবার) আইসিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান ভারতের। এমনকি তাদের বোর্ডকে সবচেয়ে ধনী বলেও বিবেচনা করা হয়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল রোহিত-কোহলিদের দেশে। যার কল্যাণে ভারত আয় করেছে ১.৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আজ (বুধবার) আইসিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুবাদে। তাই আসরটিকে ফরম্যাটটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বলে উল্লেখ করেছে আইসিসি। বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী প্রধান গফ অ্যালারডাইস বলেন, ‘অর্থনীতির প্রসারে ক্রিকেটের ভূমিকা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, সেটি দেখিয়েছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই আসর থেকে ভারত ১.৩৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।’

বিশ্বকাপ চলাকালে ভারতের সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে পর্যটন খাতে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শকদের কল্যাণে দেশটি আয় করেছে ৮৬১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যারা নিজেদের দেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে ভারতে গেছেন। আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, খাবার, বাসস্থান, ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছে দেশটি।

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ওই সময় ১.২৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী গিয়েছিল ভারতে। তারমধ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ৫৫ শতাংশ মানুষের। অর্থাৎ ১৯ শতাংশ মানুষ প্রথমবারের মতো ভারতে এসেছিল। ভ্রমণকারীরা ভারতে যতটুকু ভ্রমণ করেছেন, তার মাধ্যমে দেশটির ২৮১.২ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। বেশিরভাগ ভ্রমণকারীরা ভারতে সেসময় পাঁচ রাতের বেশি সময় পর্যন্ত থেকেছেন। এ সময় সেখানে ৪৮ হাজারেরও বেশি ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

দর্শনার্থীদের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণে কেবল সাময়িক এই লাভই হয়নি ভারতের, এমনকি তাদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পর্যটনের প্রচারও হয়েছে। যা ভবিষ্যতেও দেশটিতে ভ্রমণে উৎসাহিত করবে বিদেশিদের। আইসিসি চিফ অ্যালারডাইস বলছেন, ‘ইভেন্টটি হাজারও কর্মক্ষেত্র তৈরির মাধ্যমে ভারত যে ভ্রমণেচ্ছুদের জন্য বড় গন্তব্য হতে পারে সেটাই প্রমাণ করেছে। যাতে কেবল দর্শকরাই উপকৃত হননি, আয়োজকদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে চাঙ্গা।’

প্রসঙ্গত, ভারতের ১০টি শহরে গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের খেলা। মেগা আসরটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ফাইনালেও উঠেছিল স্বাগতিক ভারত। যদিও তাদের শিরোপা জেতা হয়নি। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া ষষ্ঠ ওয়ানডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে হৃদয় ভেঙ্গেছেন রোহিত শর্মাদের।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *