বিপৎসীমার ওপরে কুমিল্লার ৪ নদীর পানি, দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি

বিপৎসীমার ওপরে কুমিল্লার ৪ নদীর পানি, দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি

টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুমিল্লার গোমতী, সালদা, কাঁকড়ি ও ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত দুদিন ধরে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। ফলে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুমিল্লার গোমতী, সালদা, কাঁকড়ি ও ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত দুদিন ধরে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। ফলে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে জেলার গোমতী নদীর সদর উপজেলা, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস উপজেলা, কাঁকড়ি নদীর তীরের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এবং ডাকাতিয়া নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে নাঙ্গলকোটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। পাশের ফেনী জেলার ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়ও। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখের ওপর মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।  নাঙ্গলকোটেও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বানের পানি। এ উপজেলায় ৭০-৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বন্যাকবলিত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলাজুড়ে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। পানিবন্দি সেসব মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের জন্য শুকনো খাবার, স্যালাইন ও জরুরি ওষুধ সরবরাহ করছে প্রশাসন। এসব এলাকায় সহায়তা সেল খুলেছে সেনাবাহিনী। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান ওয়ালিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই মুহূর্তে গোমতী নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গোমতীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নদীর বেড়িবাঁধের কোথাও ক্ষতি হয়নি। 

তিনি বলেন, বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পাউবো, উপজেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করছেন। 

কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় বুধবার পর্যন্ত ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) আরও কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র বাড়তে পারে। বন্যা দুর্গতদের চাল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমানকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

আরিফ আজগর/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *