দীর্ঘ কয়েক দশক বন্ধ থাকার পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ফের সীমান্ত খুলছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রতিবেশী চীনের একাধিক পর্যটন সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে এই তথ্য।
দীর্ঘ কয়েক দশক বন্ধ থাকার পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ফের সীমান্ত খুলছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির প্রতিবেশী চীনের একাধিক পর্যটন সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে এই তথ্য।
বেইজিংভিত্তিক পর্যটন সংস্থা কোরিও ট্যুরস নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় বলেছে, “উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে যে আগামী ডিসেম্বর থেকে বিদেশি পর্যটকরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। আপাতত সামজিয়ন শহরে ঘুরে বেড়াতে পারবেন তারা।”
উত্তর কোরিয়ার প্রসিদ্ধ পর্যটন শহর সামজিয়ন। চীন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত শহরটিতে তিনটি বড় প্রাকৃতিক হ্রদ রয়েছে। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার বিখ্যাত পর্বত মাউন্ট পিকটু এই শহরটি থেকে কাছে।
সামজিয়নকে আকর্ষণীয় পর্যটন শহর এবং স্কি রিসোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কিম জং উন বিশেষভাবে মনযোগী। গত কয়েক বছর ধরে শহরটির অবকাঠামোগত কাজ চলেছে। কাজে গাফিলতির জন্য সরকারি প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তাকে শাস্তিও দিয়েছেন কিম।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে বিদেশিদের প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি করা শুরু করে উত্তর কোরিয়া। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিদেশিদের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
তবে গত বছর থেকে সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণ করতে দিচ্ছে পিয়ংইয়ং। কয়েকজন রুশ পর্যটক গত বছর দেশটি সফর করেছেন। চলতি বছর পিয়ংইয়ং সফর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা উত্তর কোরিয়া গত কয়েক বছর ধরে অর্থ সংকটে ভুগছে। তার ওপর সম্প্রতি অতি বর্ষণ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির হাজার হাজার একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পৌঁছেছে আরও নাজুক পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের তিন বেলা খাবাারের নিশ্চয়তা নেই।
দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে মেরামত করতে তাই পর্যটনের দিকে মনোযোগী হয়েছেন কিম।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ