চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গতকাল রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। তারা নিশ্চয়ই ভালো খবর পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গতকাল রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। তারা নিশ্চয়ই ভালো খবর পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কিছু আনসার সদস্য তাদের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া ভিত্তিতে গতকাল থেকে কাজে আসছেন না। তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে কাজ করেন, তাই আমাদেরও তাদের প্রতি কিছু দায়িত্ববোধ আছে। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমরা আনসার হেডকোয়ার্টারে যোগাযোগ করেছি। মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। যেহেতু এটা পলিসিগত বিষয়, পলিসির জায়গা থেকে তারা দেখাশোনা করছেন। আশা করি তারা নিশ্চয়ই ভালো খবর পাবেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এখানে আর্মস গার্ড ব্যাটালিয়ন যারা আছেন, তাদের সদস্যরা কিন্তু এখন আমাদের সঙ্গে আছেন। উনারা কিন্তু উনাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আমাদের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির যে স্টাফরা আছেন, সিকিউরিটি প্রফেশনালরা আছেন, তাদের সবার প্রচেষ্টায় এই এয়ারপোর্টকে আমরা সচল করে রেখেছি। বিমানবাহিনী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল ৯০২ জন আনসার হুট করে না থাকায় আমাদের তাৎক্ষণিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেটা কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে পেরেছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের বিমানবন্দর সচল রাখতে হবে। সেজন্য আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করা জরুরি।
এর আগে গতকাল ২২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে আনসার সদস্যরা জড়ো হয়ে বিমানবন্দর সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। অবরোধের ফলে দুর্ভোগে পড়েন সেখানকার সাধারণ যাত্রীরা। আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা বলেন, দাবি মানা না হলে আগামী ২৫ আগস্ট সারাদেশে কর্ম বিরতি পালন করা হবে। সেইসঙ্গে ওই দিন উচ্চ আদালতের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির করা হবে।
তারা আরও বলেন, আমরা সরকারি অন্যান্য বাহিনীর থেকে কম কষ্ট করি নাই। র্যাব-পুলিশ যখন পালিয়ে ছিল, তখন আমরাই দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছি। অথচ তাদের থেকে আমরা এখনো সুযোগ-সুবিধা কম ভোগ করছি। এছাড়াও আমাদের এখনো চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
/এমএইচএন/এমএসএ