কার্যালয় ও এর আশেপাশে আন্দোলনের নামে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি’ ও ‘হুমকি-ধমকি’র ব্যাপারে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিএমডিসিতে চিকিৎসকদের অনেক নথিপত্র সংরক্ষিত আছে, তাই এই প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধস নামবে।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ্যে আসে। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠায় বিএমডিসি।
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের একটি নির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত আছে। এসব নথিপত্রের ক্ষতিসাধন হলে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধস নামবে।
এতে বলা হয়ে, এই প্রতিষ্ঠানে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা, জোরপূর্বক কোনো দাবি আদায়ে আগমন, উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলা এবং কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হুমকি প্রদান ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে এ রূপ কার্যকলাপ যদি ভবিষ্যতে কারও মাধ্যমে পরিচালিত হয় তাহলে বিএমডিসি কর্তৃপক্ষ নিকটস্থ থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, এমবিবিএস ও বিডিএস পাস ব্যতীত অন্য কারো ডাক্তার পদবি ব্যবহার নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্থির দেশের চিকিৎসা খাত। এ নিয়ে রাজধানীর বিজয় নগরে বিএমডিসি কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে বিএমডিসি কর্মকর্তাদের চাপে ফেলে দাবি আদায়ে বাধ্য করারও। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টিআই/এসকেডি