বিএনপির এক পক্ষের ওপর আরেক পক্ষের হামলা, আহত ১৫

বিএনপির এক পক্ষের ওপর আরেক পক্ষের হামলা, আহত ১৫

নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপির এক পক্ষের ওপর আরেক পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপির এক পক্ষের ওপর আরেক পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা মোফাজ্জল হোসেন (৩৫), শাহ জাহান (৪৫), সাইফুল ইসলাম (৫৩), যুবদল নেতা জুয়েল (৪৫), জুয়েল রানা (৪২), ছাত্রদল নেতা শাহিন ফরাজী (২২), সাব্বির (২৩), সাদ্দাম হোসেন (২৮), প্রণয় ফরাজী (২২) ও নূর উদ্দীনের (৩৫) নাম পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মোফাজ্জলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় নেতাকর্মীদের ১০-১২টি মোটরসাইকেল পুড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীনের এক কর্মীকে মারধর করেন সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল গ্রুপের লোকজন। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন জয়নুল গ্রুপের সমর্থকরা। সভা চলাকালে বকুল গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের অতর্কিত হামলায় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। এতে ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, এটা সম্পূর্ণ ইজারা নিয়ে গন্ডগোল। আমি শুনেছি গণি ফরাজী তার দলবল নিয়ে বাজারের ইজারাদারদের ওপর হামলা চালায়। একজন ইজারাদারের মাথায় চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়েছে। ইজারাদারকে কোপ দেওয়ার পর সকল ইজারাদার মিলে ওদের ওপর হামলা করে।

তবে শুকুন্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল গণি ফরাজী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা চলাকালে বকুল গ্রুপের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ১০-১২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলায় আমাদের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

মনোহরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তন্ময় সাহা/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *