বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে যা বললেন সুজন

বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে যা বললেন সুজন

বাংলাদেশের মাটিতে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু যখন আইসিসির মেগা আসরটি ‍শুরু হতে আর মাত্র দেড়মাসের মতো বাকি, তখনই দেশের পরিস্থিতি বদলে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই আত্মগোপনে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের মাটিতে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু যখন আইসিসির মেগা আসরটি ‍শুরু হতে আর মাত্র দেড়মাসের মতো বাকি, তখনই দেশের পরিস্থিতি বদলে গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এরপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই আত্মগোপনে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ (মঙ্গলবার) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। আবাহনী ক্লাবে উপস্থিত হয়ে পাপনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘না, কোনো যোগাযোগ হয়নি ওনার সঙ্গে এখনও। জানিও না উনি কোথায় আছেন, সুতরাং বলতে পারব না। যদি যোগাযোগ হয় তাহলে কথা বলতে হবে।’

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইস্যুতে সুজন বলেন, ‘এখন পাপন ভাই নেই, যদিও এখনও উনি সভাপতি আছেন, যেহেতু পদত্যাগ করেননি। আসিফ মাহমুদ এসেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হয়ে। উনি সিদ্ধান্ত নেবেন। বলে দিয়েছেন কী করতে হবে। যেহেতু এটা আর আমাদের হাতে নেই, বিসিবির হাতে নেই। এটা এখন সরকার পর্যায়ে চলে গেছে, বিশ্বকাপটা হবে কি না এটাও (তারা সিদ্ধান্ত নেবে)।’

বিসিবির পক্ষে থেকে যতটুকু সমর্থন দরকার দেওয়ার কথা জানান সুজন, ‘অনেক দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তো আর বিসিবির না। আমরা লজিস্টিক্যালি বলেছি, যে সাপোর্টটা মাঠ ও লজিস্টিক যেটা আছে বিসিবি করতে পারবে, বাকিটা সরকারের ওপর যাবে। তারা এটার সিদ্ধান্ত নেবে। উনিও আশ্বস্ত করেছেন, একটা কথা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা উনি খুবই ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। ওনার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত চেষ্টা করবেন, যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায়।’

সুজনের চাওয়া মেয়েদের বিশ্বকাপ যেন বাংলাদেশেই থাকে, ‘আমি চাই এটা (বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত) যেন তাড়াতাড়ি করতে পারে, বিশ্বকাপটা বাংলাদেশে হোক। এখানে আমাদের দেশের ভাবমূর্তির ব্যাপার থাকবে, এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হবে। বিশ্বকাপটা আয়োজন করতে পারলে, দুর্ভাগ্য বলতে হবে।’

আইসিসির নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী– আগামী ৩ অক্টোবর শুরু হবে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০ অক্টোবর। ১০ দলের বিশ্বকাপে দুই গ্রুপের আটটি দল চূড়ান্ত। বাকি দুটি দল আসবে বাছাইপর্ব খেলে। ‘এ’ গ্রুপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের একটি দল। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাছাইপর্ব উতরে আসা এক দল।

এসএইচ/এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *