বরগুনায় মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ

বরগুনায় মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ

মা ইলিশ রক্ষায় শুরু হওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনার বিভিন্ন নদীতে পরিচালনা করা হয়েছে যৌথ অভিযান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হারুন, পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন।

মা ইলিশ রক্ষায় শুরু হওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনার বিভিন্ন নদীতে পরিচালনা করা হয়েছে যৌথ অভিযান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হারুন, পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে বরগুনার বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীতে প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করে।

এর আগে ১২ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ২২ দিনের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরগুনায় শুরু থেকেই তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনার বিভিন্ন নদীতে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরের যৌথ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এ সময় নদীতে কোনো ধরনের মাছ ধরার ট্রলার অথবা মাছ শিকারের জাল পাওয়া যায়নি।

অভিযানে উপস্থিত বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। মৎস্য বিভাগের সঙ্গে একত্রিত হয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। মাছ শিকারের পাশাপাশি যাতে কেউ পরিবহন ও মজুদ করতে না পারে সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের সহায়তার জন্য সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণে মৎস্য বিভাগকে জেলা পুলিশ সহযোগিতা করছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ইলিশের এখন প্রজনন মৌসুম চলছে। এ কারণে সরকার মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মৎস্য বিভাগ যে অভিযান পরিচালনা করে তারই ধারাবাহিকতায় আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করায় বরগুনার নদীতে এই মুহূর্তে কোনো মাছ ধরার ট্রলার নেই। এ ছাড়া বাজারে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে ইলিশ বিক্রি।

মো. আব্দুল আলীম/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *