বন্যার্তদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএস) সদস্যরা তাদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএস) সদস্যরা তাদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিএফএসের এক্সট্রা অর্ডিনারি জেনারেল মিটিংয়ে (ইজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূলত, বিএফএসের গঠনগত সংস্কারমূলক প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনার জন্য এই ইজিএম সভার আয়োজন করা হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পররাষ্ট্র সচিব ও অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য সদস্যরা জুম প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা ও আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার খরচ বহনের জন্য বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি চেক অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হবে, যা অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে তার মাসিক বেতনের ২.৫ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থ।
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের সংস্কার নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়। বিস্তারিত আলোচনায় ফরেন সার্ভিস আইন প্রণয়ন, ফরেন সার্ভিস বোর্ড গঠন, পদায়ন নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন, ক্যারিয়ার প্ল্যানিং, পদ সৃজন, পদোন্নতি জট দূরীকরণ, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে বিভিন্ন উইংসমূহ বিশেষ করে কূটনৈতিক উইং, কনস্যুলার, লেবার, ইকোনমিক উইংয়ের সংস্কার ও ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংস্কার ইস্যু তুলে ধরা হয়।
এ সময় সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে বৈষম্য দূরীকরণে ঐকমত্য পোষণ করেন।
রাষ্ট্রের আইন দ্বারা কর্মে নিয়োগ, পদোন্নতি ও কর্ম-মূল্যায়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত মানদণ্ড ব্যতীত সাংবিধানিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক অন্য কোনো মানদণ্ড যেমন, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস, পোশাক, জন্মস্থান, প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে কোনো কর্মচারীর পদায়ন, পদোন্নতি, কর্ম-মূল্যায়ন নির্ধারিত না হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
এনআই/কেএ