ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকটি শুরু হয়। তবে এতে কোনো প্রতিনিধিকে পাঠায়নি হামাস।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করতে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকটি শুরু হয়। তবে এতে কোনো প্রতিনিধিকে পাঠায়নি হামাস।
তবে আলোচনায় অংশ নিতে দোহায় গেছে দখলদার ইসরায়েলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে রয়েছেন মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়াও। এছাড়া উপস্থিত আছেন মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য হলো গাজায় দীর্ঘ ১০ মাস ধরে চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং হামাসের কাছে থাকা ১১৫ জিম্মিকে মুক্ত করা।
এছাড়া এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলে ইরানের সরাসরি হামলার বিষয়টি। গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের সাবেক প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর ইরান হুমকি এই হত্যাকাণ্ডের জবাবে দখলদার ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার আশঙ্কা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যক্তরাষ্ট্র। তাদের আশা, যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় তাহলে ইরান হামলা থেকে নিবৃত থাকবে এবং আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়ানো যাবে।
হামাসের প্রতিনিধি আলোচনায় যুক্ত না হলেও দোহায় তাদের যে দল আছে তাদের কাছে তথ্য পাঠাবে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের একটি সূত্র জানিয়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাদের আলোচনার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছেন। যেন সেসব বিষয়ে এখনো দ্বিমত ও দ্বন্দ্ব রয়েছে সেগুলো মিটিয়ে ফেলা যায়।
এদিকে গাজার সাধারণ মানুষ আশায় রয়েছেন এবারের আলোচনার মাধ্যমে তাদের উপর চলা বর্বরতা বন্ধ হবে।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই