ফেনীর দাগনভূঞায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মো. আবির (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
ফেনীর দাগনভূঞায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মো. আবির (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালের দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আবির দাগনভূঞা পৌর এলাকার আমান উল্যাহপুর মনু হাজী বাড়ির মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে। পরিবারে তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি মেঝো সন্তান ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দাগনভূঞা পৌর এলাকার বাংলা বাজার (পাকিস্তান বাজার) স্বপন হোটেল সংলগ্ন নিজাম টাওয়ারের ভাড়া বাসার এক নারী শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভবনের মালিক নিজাম উদ্দিন ওই মেয়েকে জেরা করেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পতনের পর ওই শিক্ষার্থী ভবনের ছাদে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে মালিক নিজাম উদ্দিন তাকে মারধর করে মাথায় আঘাত করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও নিহত আবিরের বাবা জাহাঙ্গীর এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
এ সময় নিজাম, তার ভাই পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, ভবনের কর্মচারী মানিক ও বাহার দলবল নিয়ে জাহাঙ্গীরকে মারধর করেন। পরে বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আবিরকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সেখান থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের ফুফাতো ভাই হাবিব উল্যাহ ফরহাদ বলেন, বাবাকে বাঁচাতে গেলে জসিম, বাহার ও মানিক দলবল নিয়ে আবিরকে প্রথমে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরে জখম করে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এদিকে আবিরের মরদেহ এদিন বিকেলে নিজাম টাওয়ারের সামনে রেখে প্রতিবাদ মিছিল করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তারেক চৌধুরী/এমএসএ