ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১০

ফেনীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১০

ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ছনুয়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ছনুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আক্তার হোসেন শিমুল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম, ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শরীফ, কালিদহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল আলম সৌরভ, ছাত্রদল নেতা মেহেদী, নূর আলম, জাহিদ, সদর উপজেলা তাঁতী দল নেতা মোতালেব এবং অনলাইন ফেনী সমাচারের রিপোর্টার এম কাউছারসহ অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে সৌরভ, কাউছার, নজরুল, মেহেদী ও মোতালেবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে ছনুয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় ছাত্রদলের একটি বৈঠক শেষে ফেরার পথে সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলামসহ নেতা-কর্মীদের ওপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান সুমন হামলা করে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জের ধরে আজ সকালে সুমনের লোকজন ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শরীফকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে সদর উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধারে গেলে ছনুয়া রাস্তার মাথায় সুমনের নেতৃত্বে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন, সুমনের অনুসারী সোলিমুল হাসান, ছানাউল্ল্যাহ টিপু, মনির, ইমরান, মুজাহিদসহ কয়েকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুমন একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও তারপর প্রবাসে ছিল। তুচ্ছ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক আমরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করেছি। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আহসান সুমনের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে  ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তারেক চৌধুরী/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *