ফরিদপুরে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুরে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুর শহরে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অফিসার্স ইনচার্জ ও জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন ওরফে ঝিনুকে (৬০) কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। 

ফরিদপুর শহরে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অফিসার্স ইনচার্জ ও জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন ওরফে ঝিনুকে (৬০) কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের আলীপুর মহল্লার কবি জসীউদ্দীন সড়কের আর্ট কিং দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী। ফরহাদ হোসেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন ওরফে জুয়েলের বড় ভাই। 

এলাকাবাসী জানান, আহত হওয়ার পর স্থানীয়রা ফরহাদ হোসেনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তার পিঠে আঘাত ও হাতে কোপের জখম রয়েছে। ফরহাদ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে আলীপুরস্থ বাস ভবনে অবস্থান করছেন।

ফরহাদ হোসেন জানান, আলিপুরের সাগর খন্দকার (৩০) নামে এক তরুণ চাঁদা না দেওয়ায় ওই এলাকার একটি নির্মানাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ খবর জানার পর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কবি জসীমউদ্দীন সড়কের আর্ট কিং দোকানের সামনে সাগরকে দেখতে পান। তখন তিনি তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। ওই সময় সাগর তাকে স্টিলের পাত দিয়ে আঘাত করে। 

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমি তাকে ধরে ফেললে তিনি আমাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। আমি ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে আমার হাত জখম হয়। ওই সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে সাগরকে আটকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। 

সৈয়দ জুলফিকার হোসেন বলেন, সাগর খন্দকার একজন নেশাগ্রস্ত। তিনি আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগের একটি চক্র শহরে নতুন করে চাঁদাবাজি শুরু করেছে।

এদিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সাগর খন্দকারকে আটক করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শহর টহলরত ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান সিকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত সাগর সিকদারকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ব্যাপারে মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহির হোসেন/আরকে 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *