ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছের চারা জমা করা ছিল সারি সারি। এই চারা নেওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে না, দিতে হবে প্লাস্টিকের বর্জ্য। নিজের রুমে বা ব্যাগে থাকা অব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল দিলেই গাছ পাবেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আশপাশের বর্জ্য প্লাস্টিকের বোতল ও চিপসের প্যাকেট কুড়িয়ে এনেও নিচ্ছে এই গাছ।
ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছের চারা জমা করা ছিল সারি সারি। এই চারা নেওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে না, দিতে হবে প্লাস্টিকের বর্জ্য। নিজের রুমে বা ব্যাগে থাকা অব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল দিলেই গাছ পাবেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আশপাশের বর্জ্য প্লাস্টিকের বোতল ও চিপসের প্যাকেট কুড়িয়ে এনেও নিচ্ছে এই গাছ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এন এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
পরিবেশ রক্ষার্থে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এদিন দুপুর ১২টায় বালিকা বিদ্যালয়টিতে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি রোধে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরাম সাতক্ষীরা’।
এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে আয়োজনটি ভিন্নরকম সাড়া ফেলেছে। অনেক শিক্ষার্থী নিজের হলরুমে জমে থাকা প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে এসেছেন গাছ নেওয়ার জন্য। এ ছাড়াও বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষকেও এসে প্লাস্টিক দিয়ে গাছ নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবন ও জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। নানা অজুহাতে নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আমরা শিক্ষার্থীদের বলে দিয়েছিলাম বাড়িতে বা আশপাশে জমে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট নিয়ে আসার জন্য। শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ে এসে তার বিনিময়ে গাছ নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জেলার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছ বিতরণ করেছি। ধীরে ধীরে জেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান তিনি।
ইব্রাহিম খলিল/এএমকে