দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে এবং নতুন বাংলাদেশের সূচনা করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি ৯ম গ্রেড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে এবং নতুন বাংলাদেশের সূচনা করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি ৯ম গ্রেড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিজের দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন দাবি জানান।
ফেসবুক পোস্টে অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষকদের অবশ্যই ৯ম গ্রেড দেওয়া উচিত। এর মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা হউক।’
পরবর্তীতে মন্তব্যের ঘরে এই অধ্যাপক বলেন, ‘যাদের অনার্স মাস্টার্স আছে তাদেরকে অবশ্যই নবম গ্রেড দেওয়া যায় এবং বাকিদের ১০ম গ্রেড।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে বাকি শিক্ষকদের সমস্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান হয়ে যাবে। এদের উচ্চ গ্রেড দেওয়া মানে সরকার একটি সিগন্যাল দিচ্ছে শিক্ষকতা পেশাকে তারা আকর্ষণীয় করতে চায়। এর মধ্যেই বাংলাদেশের অনেক সমস্যার সমাধান লুক্কায়িত।’
মন্তব্যের ঘরে এস এম হাসান এ লতিফ বলেন, শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে আগামীর নিয়োগ এগুলোতে সব শিক্ষকদের নবম গ্রেড দেওয়া হোক। কিন্তু বর্তমানে যারা নিয়োগ নিয়ে আছেন তাদের ৯ গ্রেড দেওয়া কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হবে না।
সৈকত আহমেদ নামে আরেকজন বলেন, যারা মাধ্যমিক পাশ করে তাদেরকেও কি ৯ম গ্রেড দেওয়া ঠিক হবে? আমার যে অবজারভেশনে তা হলো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ১২টা সেদিন বেজে গিয়েছিল যেদিন ৬০ শতাংশ কোটায় এসএসসি পাস করা মানুষের প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাধারণ শিক্ষিত মানুষের অনীহা এবং অসংখ্য অপ্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি।
কেএইচ/এমজে