প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচিত মাসদার হোসেনের সাক্ষাৎ 

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচিত মাসদার হোসেনের সাক্ষাৎ 

স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় মাসদার হোসেন মামলার রায় বাস্তবায়নের আলোচনা এখন সর্বত্র চলছে।

স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় মাসদার হোসেন মামলার রায় বাস্তবায়নের আলোচনা এখন সর্বত্র চলছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগের রোডম্যাপ ঘোষণাকালে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একান্ত আবশ্যক। আলোচিত সেই মাসদার হোসেন মামলার আবেদনকারী সাবেক জেলা জজ মো. মাসদার হোসেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাক্ষাৎকালে তিনি দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের পক্ষে মাসদার হোসেন মামলা পরিচালনায় প্রধান বিচারপতির বাবা ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের অবদান সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে সম্পূর্ণ স্বপ্রণোদিতভাবে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে মামলাটি পরিচালনা করে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ যে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন সেই অবদানকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা আজও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বিশেষ করে, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ব্লু-প্রিন্ট প্রস্তুত থাকার পরেও তৎকালীন রাজনৈতিক সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ কার্যকর না হওয়ার প্রেক্ষাপটে মাসদার হোসেন চট্টগ্রামে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের এক সফরের স্মৃতি উল্লেখ করেন।

মাসদার হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ চট্টগ্রামে তার কাছে ব্যক্ত করেছিলেন যে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের রায় বাস্তবায়ন তিনি তার জীবদ্দশায় দেখে যেতে চান।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সার্বিক মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ঘোষিত রোডম্যাপে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণের রূপরেখা ফুটে উঠেছে। তাই তিনি প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বর্তমান প্রধান বিচারপতির হাত ধরেই বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ চূড়ান্তরূপে বাস্তবায়ন হবে।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ প্রদত্ত রায়ের মাধ্যমে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে গণ্য না করে একটি পৃথক সার্ভিস হিসেবে বিবেচনা করে এ দেশে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের দ্বার উন্মোচিত হয়। মাসদার হোসেন মামলার রায় ১৯৯৯ সালে ২ ডিসেম্বর ঘোষিত হলেও পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারসমূহ উক্ত রায় বাস্তবায়ন করেনি।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৃথক জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন করে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি অভিভাষণ প্রদানকালে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেন।

এমএইচডি/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *