প্রতিটি দেশকেই নিরবচ্ছিন্ন পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে

প্রতিটি দেশকেই নিরবচ্ছিন্ন পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বি.আই.পি) সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেছেন, গবেষণার মাধ্যমে বাঁধের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করে শক্তিশালী পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশকেই নিরবচ্ছিন্ন পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘বাসযোগ্য নগরী গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে বুঝতে পারবো অবাধে নদী-খাল-জলাশয় দখল করে ফেলার কারণে আজকের এ ভয়াবহতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া আন্তঃ নদীতে প্রতিটি দেশেরই সমান অধিকার। কিন্তু দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে আমরা কখনো আমাদের পানির হিস্যা বা বাঁধগুলো নিয়ে কোন প্রশ্ন করিনি। তিস্তা বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে কুড়িগ্রাম, নীলফামারিতে বন্যা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের বাঁধ কোনো সমাধান নয়। গবেষণার মাধ্যমে এ সকল বাঁধের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করে শক্তিশালী পররাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশকেই নিরবচ্ছিন্ন পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানকে বিবেচনায় না নিয়ে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা সাধারণ জনগণকে উপকৃত করেনি। পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণের চাহিদার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে ভূমিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্থপতি ফারহানা রশীদ বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা আমাদের অনেক বড় একটি সমস্যা। ছোট-বড় যেকোন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিটি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু এ সরকার বৈষম্যহীন এবং সুশাসনমূলক একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান, সেক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবার চাহিদা যেন প্রাধান্য পায় তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। 

তিনি আরও বলেন, সেই সাথে শুধুমাত্র গণস্থাপনা বা গণপরিসর তৈরি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ না থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তবে সব কিছু কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি না করে ব্যক্তি আচরণ পরিবর্তনও করতে হবে। নগরে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ যত্রতত্র পলিথিন-প্লাস্টিক ফেলা। এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকলে নগরে জলাবদ্ধতা অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুনের সঞ্চালনায় এবং সংস্থার পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) ক্যাম্পেইনস অ্যান্ড পলিসি কো-অর্ডিনেটর বারিশ হাসান চৌধুরী।

এএসএস/এনএফ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *