পুরোনো বলে ধার কমছে বাংলাদেশের 

পুরোনো বলে ধার কমছে বাংলাদেশের 

ভারতের ইনিংস শেষে চাইলে আক্ষেপ করতেই পারেন আপনি। ৩৭৬ রানের ইনিংসটা চেন্নাইয়ের গরমে কিছুটা হলেও চাপে রাখবে বাংলাদেশকে। যদিও সু্যোগ ছিল গতকালকেই ভারতের প্রথম ইনিংসে ইতি টানার। কিন্তু ১৪৪ রানে ৬ উইকেট পতনের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের জুটিই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলেছে টাইগারদের। 

ভারতের ইনিংস শেষে চাইলে আক্ষেপ করতেই পারেন আপনি। ৩৭৬ রানের ইনিংসটা চেন্নাইয়ের গরমে কিছুটা হলেও চাপে রাখবে বাংলাদেশকে। যদিও সু্যোগ ছিল গতকালকেই ভারতের প্রথম ইনিংসে ইতি টানার। কিন্তু ১৪৪ রানে ৬ উইকেট পতনের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের জুটিই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলেছে টাইগারদের। 

যদিও টেস্টের জন্য এমন চিত্রটা একেবারেই অচেনা নয় বাংলাদেশের জন্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শক্তিশালী হয়েছে টাইগারদের পেস বোলিং ইউনিট। ওটিস গিবসন, কোর্টনি ওয়ালশ, অ্যালান ডোনাল্ড, টনি অ্যাডামসরা পেস বোলিংকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। টেস্টের নতুন বলে সেটার সুবিধাও দারুণভাবে আদায় করেছে টিম টাইগাররা। 

অথচ বল কিছুটা পুরোনো হলেই ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এই নিয়ে চতুর্থবার মিডলঅর্ডারের বড় জুটি বাংলাদেশের জন্য খেলা কঠিন করেছে। যার শুরুটা ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ঢাকা টেস্টে ৪র্থ ইনিংসে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৩৭ রান। 

মিরাজ-তাইজুলরা সেদিন শুরু করেছেন দুর্দান্ত। ৬৯ রানেই নেই কিউইদের ৬ উইকেট। প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতার সুযোগ। কিন্তু এরপরেই গ্লেন ফিলিপ্স আর মিচেল স্যান্টনারের দুর্দান্ত এক জুটি। বাংলাদেশের আর উইকেট পাওয়া হয়নি সেদিন। নিউজিল্যান্ড টেস্ট জিতে নেয় ৪ উইকেটে। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১ম টেস্ট। খালেদ আহমেদ সিলেটের পিচে আগুন ঝরালেন। ৪১ রানে নেই ৩ উইকেট। ৫৭ রানে শেষ ৫ জন। বল পুরাতন হতে শুরু করতেই হারালো বাংলাদেশের জাদু। কামিন্দু মেন্ডিস আর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা মিলে স্কোর টেনে নিলেন ২৫৯ পর্যন্ত। ২০২ রানের ওই জুটি পরে ম্যাচটাই তুলে দেয় লঙ্কানদের হাতে। 

দ্বিতীয় ইনিংসেও চিত্রটা অনেকটা এমনই ছিল। ১২৬ রানে ৬ উইকেটের পর ২৯৯ রানে ৭ম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ততক্ষণে ম্যাচ অনেকটা দূরে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস। ৩১ ওভারে সাইম আইয়ুবের উইকেট যখন পেয়েছিল বাংলাদেশ ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ১১৪ রান। এরপরেই পুরোনো বলে টাইগার বোলারদের চিরায়ত দুর্বলতার চিত্র। সৌদ শাকিল আর মোহাম্মদ রিজওয়ান গড়লেন ২৪০ রানের বিশাল জুটি। 

অবশ্য সেই টেস্ট জিততে বাংলাদেশের পরে সমস্যা হয়নি। পুরোনো বলে বাংলাদেশের বোলারদের সাদামাটা পারফরম্যান্স ঢাকা পড়ে গিয়েছিল টেস্ট জয়ের সুবাদে। কিন্তু চেন্নাইয়ের গরম আর লাল মাটির পিচে তেমন কিছু আবার হবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। 

ঢাকা টেস্ট: প্রতিপক্ষ- নিউজিল্যান্ড ৬৯/৬ থেকে ১৩৯/৬ (নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জয়) 

সিলেট টেস্ট: প্রতিপক্ষ- শ্রীলঙ্কা ১ম ৫৭/৫ থেকে ২৫৯/৬ (শ্রীলঙ্কার টেস্ট জয়)

রাওয়ালপিন্ডি ১ম টেস্ট: প্রতিপক্ষ- পাকিস্তান ১১৪/৪ থেকে ৩৫৪/৫ (বাংলাদেশ জয়ী)

চেন্নাই টেস্ট: প্রতিপক্ষ- ভারত১৪৪/৬ থেকে ৩৪৩/৭ (টেস্ট চলমান)

জেএ/এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *