পাবনার আমিনপুর থানার চাঞ্চল্যকর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ইমরুল কায়েস ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাবনার আমিনপুর থানার চাঞ্চল্যকর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ইমরুল কায়েস ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম (৩৫), লোকমান হোসেনের ছেলে মোকছেদ আলী (৪৫) ও ফজলুর রহমানের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৫) রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুজন রাজনারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে আপেল মাহমুদ (৪১) ও আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ (৫০)পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে ইমরানকে মোবাইলে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নেন একই গ্রামের আবুল কালাম। পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার চারজন সহযোগীকে তুলে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একটি জঙ্গলের মধ্যে মরদেহ রেখে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ১৬ জুলাই আমিনপুর থানার চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার তার ছেলে ইমরানের মরদেহ বলে শনাক্ত করেন। পরে সেদিনই রাত ১০টার দিকে ইমরানের বাবা কালু সরদার আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
এ বিষয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার বাবু ও আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আসামিরা সেখান থেকে খালাস পাবেন বলে আশা করি।
রাকিব হাসনাত/এমজেইউ