পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাবর আজম। এর পর থেকেই নতুন অধিনায়ক নিয়ে ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের নেতৃত্বের দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান এমনটাই মনে করছেন মুদাসসার নাজার।
পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাবর আজম। এর পর থেকেই নতুন অধিনায়ক নিয়ে ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের নেতৃত্বের দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান এমনটাই মনে করছেন মুদাসসার নাজার।
ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর গত নভেম্বরে সব সংস্করণের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। পরে পিসিবিতে পালাবদলে বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দায়িত্ব নিয়ে বাবরের সঙ্গে কথা বলেন এবং গত ৩১ মার্চ সাদা বলের দুই সংস্করণের অধিনায়কত্বে ফেরানো হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে।
দ্বিতীয় মেয়াদে নেতৃত্বে এসে মাত্র ছয় মাস দায়িত্ব পালন অরেছেন তিনি। দ্বিতীয় দফায় তার অধিনায়কত্বে ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে পাকিস্তান। তবে এই সময়ে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি তারা।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মুদাসসার বলেন, ‘এখন তাদের (পিসিবি) আর কোনো বিকল্প বাকি নেই। রিজওয়ান ছাড়া তারা সবাইকে পরখ করেছে। তাদের রিজওয়ানকে অধিনায়ক বানাতেই হবে। আমার মনে হয় না, বোর্ডের ভেতরের লোক ও ম্যানেজমেন্টের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন রিজওয়ানকে নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে তাকে এখন দায়িত্ব দিতে বাধ্য হবে তারা।’
তরুণ কাউকে নেতৃত্বে দেখা যাবে না বলে মনে করেন মুদাসসার। তার মতে তরুণদের আগে থেকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে হয়। যা আগে করেনি পিসিবি। তিনি বলেন, ‘অন্যথায়, তরুণ কাউকে দায়িত্ব দিলে, বাবর আজমের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। সিনিয়য় একজনকে অধিনায়ক করে তার নেতৃত্বে তরুণ কাউকে গড়ে তোলা হবে ভালো সিদ্ধান্ত।’
টেস্টে বর্তমানে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। তাকে সরিয়ে সেখানেও রিজওয়ানকে চান মুদাসসার। তিনি বলেন, ‘আমার মতে, তিন সংস্করণেই রিজওয়ানকে অধিনায়ক করলে পাকিস্তানের জন্য ভালো হবে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলের বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে অধিনায়কত্বে দ্রুত পরিবর্তনে। তরুণ ক্রিকেটারদের অধিনায়ক করা হয় এবং পরে সরিয়ে দেওয়া হয়, যা দলের মাঝে বিভাজন তৈরি করে। আসলে এটা কেবল পাকিস্তান দলের সমস্যা নয়।’
এইচজেএস