পাকিস্তানের ছবি চললেই ভেঙে দেওয়া হবে সিনেমা হল

পাকিস্তানের ছবি চললেই ভেঙে দেওয়া হবে সিনেমা হল

গত দশ বছর ধরে ভারতে চলছে না কোনো পাকিস্তানি ছবি। ২০১৬ সালে ভারতের উরির সেনাঘাটিতে হামলার পর পাকিস্তানের শিল্পীদের ওপর ভারতে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। এবার শোনা গেল, ভারতে পাকিস্তানের ছবি চললেই ভেঙে দেওয়া হবে সিনেমা হল।

গত দশ বছর ধরে ভারতে চলছে না কোনো পাকিস্তানি ছবি। ২০১৬ সালে ভারতের উরির সেনাঘাটিতে হামলার পর পাকিস্তানের শিল্পীদের ওপর ভারতে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। এবার শোনা গেল, ভারতে পাকিস্তানের ছবি চললেই ভেঙে দেওয়া হবে সিনেমা হল।

ঘটনা সূত্র, আগামী ২ অক্টোবর ভারতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল পাক ছবি ‘দ্য লেজেন্ড অফ মওলা জাট’। প্রায় ১০ বছর ধরে পাকিস্তানের ছবি মুক্তি না পাওয়ায় ‘দ্য লেজেন্ড অফ মওলা জাট’ ছবি মুক্তির মধ্য দিয়ে উদ্‌গ্রীব ছিলেন পরিচালক। কিন্তু এতে বাধা দেয় মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনারা। তারা রীতিমতো হুমকির সুরে জানায়, কোনোভাবেই পাকিস্তানের ছবি মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না এই দেশে।

সম্প্রতি ভারতের এক নবনির্মাণ সেনার হুমকি, ভারতে পাকিস্তানের ছবি চললেই নাকি সিনেমা হল গুড়িয়ে দেওয়া হবে। সংগঠনটির সভাপতি অমেয়া খোরপার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘এই ছবি ভারতে মুক্তি পাবে না। শুধু ছবিই নয়। পাকিস্তানের কোনও শিল্পীকেই এই দেশে গ্রহণ করা হবে না। যদি এমন কিছু হয়, তা হলে জোরদার আন্দোলন হবে।’

এমনকি ভাঙচুরেরও হুমকি দিয়ে খোরপার বলেছেন, ‘প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা জানেন প্রেক্ষাগৃহের দরজা-জানলার কাচ খুবই দামি। পাকিস্তানের কোনও অভিনেতা এখানে এলেই আমরা হামলা করব। শিল্প ও রাজনীতি যে ভিন্ন, তা আমরাও জানি। কিন্তু সেনাদের জীবনের থেকে শিল্প কখনওই বড় হতে পারে না। এটাকে হুমকি হিসেবেই নেওয়া উচিত। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ওরা হামলা করেছে। আর আমরা বসে বসে পাকিস্তানের ছবি দেখব? এই দেশের মাটিতে আমরা ওদের পা রাখতে দেব না। আমরা ভাঙচুর করব।’

তাই শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খান অভিনীত সেই পাকিস্তানি ছবির মুক্তি। অন্য দিকে ২০১৯ থেকে পাকিস্তানেও নিষিদ্ধ ভারতের ছবি। এর আগেও ২০২২-এ ভারতে পাকিস্তানের এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখনও এই ছবির মুক্তি স্থগিত হয়েছিল।

ডিএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *