পাকিস্তানে ডাকাতদের হামলায় ১১ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান শহরের মাচকা এলাকায় ডাকাতদের অতর্কিত হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানে ডাকাতদের হামলায় ১১ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান শহরের মাচকা এলাকায় ডাকাতদের অতর্কিত হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের মাচকা এলাকার নদীতীরবর্তী এলাকায় ডাকাতদের অতর্কিত হামলায় ১১ পুলিশ সদস্য নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আক্রমণে ১১ জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাহাওয়ালপুর আঞ্চলিক পুলিশ অফিসার (আরপিও) রায় বাবর সাইদ।
পাঞ্জাব পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি পুলিশ ভ্যান রহিম ইয়ার খানের নদী মাচকা এলাকায় সাপ্তাহিক দায়িত্ব থেকে ফিরে আসার সময় একটি যানবাহনে ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর একপর্যায়ে এটিতে হঠাৎ রকেট হামলা হয়।
আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান তাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে হামলার নিন্দা করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই ঘটনার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের ত্যাগ সর্বদা স্মরণ করা হবে।
নিখোঁজ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আইজি আনোয়ারের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম।
এদিকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নদীতীরবর্তী এলাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না।
এছাড়া হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নদীতীরবর্তী ডাকাতদের বিরুদ্ধে ‘অবিলম্বে এবং কার্যকর ব্যবস্থা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
টিএম