৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য জেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশে হতাশা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবি জানান।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য জেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশে হতাশা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবি জানান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটিতে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দশটি সংগঠনের নেতারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানান।
চারটি দাবির মধ্যে রয়েছে- নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ, পর্যটন খাতের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য অব্যাহতভাবে নীতি ও আর্থিক সমর্থন সমুন্নত রাখা।
এছাড়া যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৬ অক্টোবর সরকার তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের আগামী ৮-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ গভীরভাবে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছি। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসী উৎসবের আমেজে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই এ ধরনের ঘোষণা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে পার্বত্য জেলাসমূহে ভ্রমণের বিষয়ে নেতিবাচক বার্তা বহন করবে যা ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের তিল তিল করে গড়ে উঠা পর্যটন খাতকে আবারও খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। এ কারণে আমরা আমাদের পেশা ও বিনিয়োগের বিষয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছি।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার অত্যন্ত সতর্কভাবে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। বিধায় তিন পার্বত্য জেলায় সাধারণ পর্যটকদের ভ্রমণে নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার কথা বিবেচনায় এনে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।’
হাউস বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বার্গি লেকের পরিচালক বাপ্পী তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, রোববার জেলা প্রশাসন থেকে রাঙামাটি ভ্রমণে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিত সোমবার রাঙামাটিতে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোকে নিয়ে জরুরি সভা করি। সেখানে চারটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দুপুরে আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে চার দফা দাবি সম্বলিত আমাদের যৌথ বিবৃতি প্রদান করি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
মিশু মল্লিক/আরকে