পিরোজপুর সদরের কদমতলা এলাকায় প্রাইভেটকার খালে পড়ে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ নিহত ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে এবং বাকি চারজনের বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলা ভীমগঞ্জ গ্রামে।
পিরোজপুর সদরের কদমতলা এলাকায় প্রাইভেটকার খালে পড়ে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ নিহত ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে এবং বাকি চারজনের বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলা ভীমগঞ্জ গ্রামে।
বুধবার রাত সোয়া ২টায় সদর উপজেলার নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. মুকিত হাসান।
নিহতরা হলেন- নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আছাব মৃধার ছেলে মো. শাওন (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), শাওনের দুই ছেলে শাহাদাত (১০) ও আব্দুল্লাহ (৩)। শাওন দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটির চালক ছিলেন।
এছাড়া একই পরিবারের নিহত অপর ৪ জন হলেন- মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা (৩৬), তাদের কন্যা সন্তান মুক্তা (১০) ও ছেলে শোয়াইব (২)।
তাদের মরদেহ পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে নিহত শাওনের পরিবারের স্বজনা হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন।
নিহত শাওনের খালাতো ভাই মুরাদ বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাতে গাড়ি চালায়। তারা সবাই কুয়াকাটায় ঘুরতে গিয়েছিল সেখান থেকে ঢাকা ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় খালে পড়ে যায় প্রাইভেটকারটি। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বলেন, রাত সোয়া ২টায় খালে গাড়ি পড়ে যাওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর পিরোজপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও একটি ইউনিট সেখানে গিয়ে যুক্ত হয়। গাড়িতে থাকা মোট ৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান বলেন, প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গাড়িতে থাকা ৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রাইভেটকারটি কুয়াকাটা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। মরদেহ বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে রাখা আছে।
শাফিউল মিল্লাত/আরকে