নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ইস্টার্ন কলেজ থেকে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ইস্টার্ন কলেজ থেকে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশ করা ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর এ শিক্ষাবোর্ডের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেননি।
শূন্য পাসের কলেজগুলো হলো, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ইস্টার্ন কলেজ, ফেনী সদরের বেগম শামসুন্নাহার গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ও চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ড. এম শামসুল হক মডেল কলেজ।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং ফেনী জেলার মোট ৪৩৩টি কলেজের ১ লাখ ১২ হাজার ৩১২জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। পাস না করা কলেজগুলোর মধ্যে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ইস্টার্ন কলেজ থেকে দুজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে একজনও পাস করেননি।
সোনাইমুড়ী ইস্টার্ন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দীন মোহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাণিজ্য বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ছিল। তারা কেউই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি ফলে এমন শূন্য পাসের ঘটনা ঘটেছে। আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। পূর্বে কলেজটি অন্যরা পরিচালনা করেছেন। এতে করে তারা শিক্ষার্থীদের খবর রাখতে পারেননি। আশাকরি আগামীতে কলেজটি ভালো ফলাফল করবে।
সোনাইমুড়ী ইস্টার্ন কলেজের পরিচালক সাইফুল ইসলাম ফরহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কলেজটিতে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তারা খুবই পরিশ্রমী। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ রয়েছে। আগামীতে ফলাফলে ভিন্নতা আসবে। আশাকরি কলেজটি আগামীতে সফলতার সাক্ষর রাখতে পারবে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার ফলাফলের অনেকগুলো প্রতিকূলতা পার করতে হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি এবার ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে সম্পূর্ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। যার কিছুটা প্রভাব পড়েছে পরীক্ষায়। আমাদের শিক্ষকদের দক্ষতা বিষয়ে আরও বেশি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে, যেন সামনের দিনগুলোতে ফলাফল আরও ভালো করা যায়। আমরা সে লক্ষ্যে অগ্রসর হব।
হাসিব আল আমিন/এমএসএ