নোয়াখালীর মাদরাসার আশ্রয়কেন্দ্রে মেহমানদারি, প্রতিবেলায় মাছ-মাংস

নোয়াখালীর মাদরাসার আশ্রয়কেন্দ্রে মেহমানদারি, প্রতিবেলায় মাছ-মাংস

নোয়াখালীতে কামাল কমপ্লেক্স নামে একটি বেসরকারি মাদরাসার আশ্রয়কেন্দ্রে এমনভাবে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যেন মেহমান আপ্যায়ন চলছে। প্রতিবেলার খাবারে রাখা হচ্ছে মাছ-মাংস।

নোয়াখালীতে কামাল কমপ্লেক্স নামে একটি বেসরকারি মাদরাসার আশ্রয়কেন্দ্রে এমনভাবে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যেন মেহমান আপ্যায়ন চলছে। প্রতিবেলার খাবারে রাখা হচ্ছে মাছ-মাংস।

অনেক জায়গায় সহায়তা কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিলেও সেখানে প্রতিবেলায় ভালো খাবার খাওয়ানো সত্যিই প্রশংসনীয় বলছেন অনেকেই।

জানা গেছে, বন্যায় বসতঘর ছেড়ে নোয়াখালীর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। কামাল কমপ্লেক্স মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। মালিক মো. কামাল হোসেন নিজের বাসার মেহমান মনে করে তাদের আপ্যায়ন করছেন। তাই প্রতিবেলায় দিচ্ছেন মাছ-মাংস।

বাহার হোসেন নামে এক বাসিন্দা বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র চালাতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। তবে কামাল হোসেন নিজের মেহমান মনে করে মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। এটার জন্য মানুষরা খেয়েও খুশি হচ্ছেন আর দোয়া করছেন।

মাদরাসাটির তত্ত্বাবধায়ক বসনিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসলে সবাই পরিস্থিতির স্বীকার। নাহয় আমরা এমন আপ্যায়নের সুযোগ পেতাম না। আমাদের মালিক তাই সুন্দর ব্যবহার ও সুন্দর আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি প্রতিবেলায় মাছ-মাংস খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছেন। উনার এমন কার্যক্রম শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এদিকে নোয়াখালীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রের খাবারের দায়িত্ব নেওয়ার অনেক খবর পাওয়া গেছে। যারা স্থানীয় লোকজনের থেকে চাঁদা তুলে প্রতিদিন খাবারের আয়োজন করছেন। তাতেও খুশি আছেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা।

সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা তুজয় সুলতান বলেন, আমরা শুরু থেকে মানুষের পাশে আছি। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানিবন্দি থাকা মানুষকে আমরা রান্না করে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আমাদের সবাইকে ভালো মনের অধিকারী হতে হবে।

বেগমগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবার ব্যবস্থা করেন পার্শ্ববর্তী পানা মিয়া হাজী বাড়ির মানুষজন। সেখানকার স্বেচ্ছাসেবক ইমাম হোসেন মনু বলেন, আমরা বাড়ির মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। আমাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন ভয়াবহ বন্যা নোয়াখালীর মানুষ আগে দেখেননি। এটি মোকাবিলা করতে সবাই যেভাবে এগিয়ে আসছে তা প্রশংসনীয়। নোয়াখালীর মানুষের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই এখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ৷ একদিন সবকিছু স্বাভাবিক হবে। তবে এই পাশে দাঁড়ানোর বিষয়গুলো মানুষের মনে গেঁথে যাবে।

হাসিব আল আমিন/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *