নোয়াখালীতে ঝলমলে রোদ, উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির

নোয়াখালীতে ঝলমলে রোদ, উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির

নোয়াখালীতে ঝলমলে রোদ উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। এতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নোয়াখালীতে ঝলমলে রোদ উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। এতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর ও আশপাশের উপজেলায় ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পানি কমেছে। এছাড়াও নদীর সঙ্গে সংযুক্ত রেগুলেটর দিয়ে তীব্র গতিতে নামছে পানি।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দিনের মতো আজ দেখা মিলেছে সূর্যের। এতে বানভাসি মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। এর আগে ভারী বর্ষণ ও ফেনী নদীর পানিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন অন্তত ২০ লাখ মানুষ। ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন লক্ষাধিক মানুষ।

কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলেন, প্রায় ৩-৪ ইঞ্চি পানি নেমেছে। বর্তমানে তীব্র রোদ গায়ে লাগছে। পানি কমতে শুরু করায় আতঙ্ক কমে মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। আমাদের রেগুলেটর দিয়ে তীব্র গতিতে পানি নামছে।

সেনবাগ উপজেলার নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পানি স্বাভাবিকভাবে নামছে। এখনও পানি আছে। মানুষজনের এই মুহূর্তে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় দ্রুতই বন্যা পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, সাগরে ভাটা থাকায় আমাদের রেগুলেটর দিয়ে তীব্র গতিতে পানি নামছে। জেলা শহর ও আশপাশের উপজেলায় ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পানি কমেছে। এভাবে কমতে থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারী বর্ষণ ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীসহ আট উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন অন্তত ২০ লাখ মানুষ। জেলার ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মাঝে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে বন্যা পরবর্তী সুপেয় পানি ও পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি।

হাসিব আল আমিন/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *