টানা দুই দিন বৃষ্টিহীন থাকার পর নোয়াখালীতে আবারও শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা। শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এদিকে এই জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টানা দুই দিন বৃষ্টিহীন থাকার পর নোয়াখালীতে আবারও শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা। শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এদিকে এই জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বন্যায় নিহতরা হলেন—সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হারাধন কর্মকারের ছেলে কাকন কর্মকার, কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব ইয়ারপুর গ্রামের সোহেলের ছেলে জিলহাজুল ইসলাম ও সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের রাজিবের ছেলে রিয়ন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাকরী ও ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে উজানের পানি ছোট ফেনী নদী হয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে পতিত হচ্ছে। ফলে সেনবাগ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পানি বেড়েছে। এতে আট উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত হয়েছেন ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ। ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এক পশলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যায় নিহত কাকন কর্মকার বাড়িতে বন্যার পানির ভেতর আইপিএস মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। আর শিশু রিয়ান ও জিলহাজুল ইসলাম বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাগরে ভাটা থাকায় আমাদের মুছাপুর রেগুলেটর দিয়ে তীব্র গতিতে পানি নামছে। জেলা শহর ও আশপাশের উপজেলায় প্রায় পাঁচ ইঞ্চি পানি কমেছে। এভাবে কমতে থাকলে তিন-চার দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুই দিন নোয়াখালীতে ঝলমলে রোদ উঠেছে। এতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বন্যায় প্লাবিত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মাঝে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে বন্যা-পরবর্তী সুপেয় পানি পাওয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি।
হাসিব আল আমিন/এএমকে